স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদে মুজিব কর্ণার নির্মাণ করা হয়েছে। এ কর্ণার থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সাজানো হয়েছে। এতে করে তরুন প্রজন্ম ভাষা থেকে শুরু করে ১৯৭৫ সালের ইতিহাস সহজেই ধারণ করতে পারবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখাযায়, নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনটিচারপাশে বাউন্ডারী ওয়াল দিয়ে ঘেরা ও রঙ্গিন লাইটিং করা। সুন্দর একটি গেইট নির্মাণ করা হয়েছে। পাশে দু,জন জাতীয় কবির ছবি রয়েছে। গেইট দিয়ে প্রবেশ করতেই ডান পাশের ওয়ালের সাথে নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্ণার। সেখানে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, ইন্দিরা গান্ধীর সাথে বঙ্গবন্ধুর চুক্তি, শিশুদের সাথে বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেল, ১৯৭১ সালের বিজয় উল্লাস, ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, ৫২ ভাষা আন্দোলনে বীরশ্রেষ্ঠদের জন্ম ও মৃত্যু , মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গেরিলা যোদ্ধারা, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণ, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আতœসমর্পণ, ইন্দিরা গান্দীর সাথে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাতসহ ভবনের সামনে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কার্য। ভাস্কার্যের দু,পাশে রয়েছে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নারুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাসহ সাজানো হয়েছে।
মুজিব কর্ণার দেখতে আসা রাসেল আহম্মেদ, আবু সাঈদ, মোকাদ্দেস হোসেনসহ অনেকেই বলেন, আমরা আসলে মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু যেভাবে ইউনিয়ন পরিষদে ৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে, এতে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারছি। তরুন প্রজন্ম এতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ লিয়াকত আলী খানসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, বর্তমান তরুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেকেই ভালো করে জানে না। ইউনিয়ন পরিষদে মুজিব কর্নার নির্মাণ করে সেখানে ৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। এতে করে তরুন প্রজন্ম সামান্য হলেও ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হবে।
নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে মুজিব কর্ণার নির্মাণ করা হয়েছে। এতে এলাকার মানুষ ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম মাষ্টার বলেন, এলাকার তরুন সমাজের মধ্যে ৫২ ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে ও ধারণ করতে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মুজিব কর্ণার নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে যাতে প্রতিটি মানুষ ইতিহাস বুকে ধারণ করতে পারে। আমি আশা করি বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।