উজ্জ্বল হোসেন : রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. জামির হোসেনের বাড়িতে হামলা ও গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে একই ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাফর ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এরআগে, দুপুরে কালুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আলীউজ্জামান চৌধুরী টিটোর অফিসে ছেলেকে মারধরের বিচার চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হন ইউপি সদস্য মো. জাফর। বোয়ালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. জামির হোসেন বলেন, একদিন আগে কালুখালীর চাঁদপুরে বঙ্গবন্ধু চত্বরে একটি শান্তি সমাবেশ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশের জের ধরে মদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুর নির্দেশে জাফর মেম্বার ও তার ছেলে এবং প্রায় ৩০-৩৫ জন মোটরসাইকেলে এসে আমার বাড়ি ঘরে হামলা করে। তারা একাধিক গুলিবর্ষণ করে। পুলিশ গুলির আলামত পেয়েছেন। আমার ঘরের কয়েকটি স্থানে তারা গুলি করে।’
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আমার এলাকার মানুষ ছুটে আসলে ওই সন্ত্রাসী জাফর ও তার লোকজন পালিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফেলে রেখে যায়। ওই ফোনে বারবার ফোন করা হচ্ছে এবং ফোনেও আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। প্রকাশ্যে হামলার সময় জাফর মেম্বার বলেছেন, ‘জামিরকে গুলি কর’, এটা অনেকেই শুনেছেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই, আমার অপরাধ একটাই- আমি রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম এমপি ও আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের রাজনীতি করি। আমি কোনো চামচার চামচামি করি না এ জন্যই আমার ওপর হামলা। কালুখালী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহেল আলী মোল্লা, কালুখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. রিপনসহ নেতাকর্মীরা রাতেই জামির হোসেনের বাড়িতে যান এবং এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. জাফর বলেন, আমার ছেলেকে মারধর করার বিচার চাইতে গেলে আমার ওপর হামলা করে। পুনরায় আমাকে ফাঁসাতে হামলার নাটক সাজিয়েছেন। আমি সঠিক তদন্ত দাবি করছি।
কালুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাসানুল বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং সেখান থেকে তিন মোটরসাইকেল একটি মোবাইল ফোনস অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করেছি।’