নিত্যদিনের এমন অনেক অভ্যাস আছে যা আমাদের প্রতিনিয়ত বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দেয়। অনেকগুলি অঙ্গভঙ্গি যেমন- মুখে কুঁচকে যাওয়া, তাড়াতাড়ি ক্লান্তি হওয়া, হাতে ভাড়ী ব্যাগ তুলতে ব্যথার অনুভূতি হওয়া, চুল সাদা হয়ে যাওয়া।
যেসব অভ্যাস থাকলে আপনি বয়সের আগেই বুড়ো হতে পারেন—-
১. ধূমপান বার্ধক্যের লক্ষণ: প্লাস্টিক অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে ধুমপানের কারণে চোখের পাতাগুলি ঝরে পড়ে এবং তাদের মুখের চারপাশে বয়সের ছোপ ধরা পড়ে। যার ফলে চেহরায় বয়সের ছাপ পরিলক্ষিত হয়।
২. মানসিক চাপ বয়সের লক্ষণ হতে পারে (Aging faster signs) : রিঙ্কেল সরাসরি বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত। যাইহোক, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক আলগা হতে শুরু করে, যার কারণে ত্বকের মসৃণতা এবং কমনীয়তা প্রভাবিত হয়। রিঙ্কেল মুখের উপর বিশেষত এই কারণে কারণে চোখের নীচের অংশে তৈরি হয়। এটি সরাসরি আমাদের মানসিক চাপের সঙ্গে সম্পর্কিত।
৩. কম ঘুম বার্ধক্যের লক্ষণ: প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে সুস্থ্য জীবনযাপনের নিমিত্তে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। তবে এমন অনেকেই আছেন যারা রাতে ঠিকমতো ঘুমান না। আর ঘুম কম হলে অকাল বার্ধক্যের লক্ষণগুলিও ধরা পড়ে।
৪. নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে বার্ধক্য আসতে পারে: নিয়মিত ব্যায়াম অভ্যাস শুধু শরীর সুস্থ রাখে না, মনেরও যত্ন নেয়। আপনি যদি ব্যায়াম করতে খুব অলস হন তাহলে বয়সের আগে বার্ধক্য চলে আসবে। আসলে ব্যায়ামের অভাবে শরীরে নমনীয়তা তৈরি হয়, যার কারণে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। যেমন জয়েন্ট বা পেশী ব্যথা। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন।
৫. নিয়মিত সোডা পান করবেন না: সোডা পান করার ফলে কোষগুলির বয়স বৃদ্ধি পায়। ইউসি সান ফ্রান্সিসকোতে গবেষকরা সায়েন্স ডেইলি- এর এক গবেষণায় জানা গিয়ছে, সোডা পান করার সঙ্গে কোষের বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত। তাই এ ধরণের পানীয় পরিহার করাই শ্রেয়।
৬. বেশিক্ষণ রোদে থাকবেন না: সান ট্যানিংয়ের ফলে আপনার মুখের উপর কুঁচকির সৃষ্টি হতে পারে। ইয়েল মেডিসিন রিপোর্ট অনুসারে, সূর্যের রশ্মি আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। সূর্যের কারণে ত্বকের অকাল বয়সের কারণ হয়ে যায়, যাকে আমরা ফটোজিটিং বলি। এটি ত্বকের ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে।
৭. কম হাসি, বার্ধক্যের চিহ্ন: সুস্থভাবে বাঁচতে হলে হাঁসতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি অকাল বৃদ্ধ থেকে নিজেকে এড়াতে চান তবে এখানে উল্লিখিত আপনার অভ্যাসগুলি উন্নত করুন। ইতিবাচক চিন্তাভাবনা, অনুশীলন এবং হাসিমুখে করে আপনার মুখ কখনও বয়সের প্রভাব দেখতে পাবে না।