বিশেষ প্রতিনিধিঃ রঙ্গিলা-৭ জাতের হাইব্রিড জাতের পিয়াজ চাষে উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত খুলে গিয়াছে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষকদের সামনে৷ তারা লাভের মুখ দেখছে। দেদেশি পিয়াজের তুলনায় ফলন চারগুণ বেশি। ঝাঁজ ও স্বাদ দেশি পিয়াজের মতোই। চ্যাপ্টা গোলাকার ও আকর্ষণীয় তাম্র বর্ণ। সারা বছর স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণ উপযোগী। প্রতিটি পিয়াজের ওজন ৬০-১০০ গ্রাম। বিঘা (৩৩শতাংশ) প্রতি ফলন ২০০ মনের অধিক। দেশি পিয়াজের তুলনায় এ পিয়াজে লাভ বেশি।
এ জাতের পিয়াজ চাষাবাদে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি বিদেশ থেকে পিয়াজ আমদানির ওপর প্রভাব কমবে। ইউনাইটেড সীড লিমিটেড সাভার তাদের নিজস্ব গবেষণায় এ জাতের পিয়াজ উদ্ভাবন করেছে। যা বাংলাদেশে এই প্রথম। নতুন উদ্ভাবিত এ জাতের পিয়াজ সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের ধারণা দিতে ও এ জাতের পিয়াজ বীজ চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে গোয়ালন্দের উজানচর স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। রঙ্গিলা-৭ সিড লিমিটেড রাজবাড়ী আঞ্চলিক কার্যালয় বৃহস্পতিবার বিকালে মইজদ্দিন মোল্লা পাড়া গ্রামে এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে। ইউনাইটেড সিড সাভার লিমিটেড এর আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব খোকোনুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোনিয়া আক্তার। ইউনাইটেড সিডের পক্ষে জনাব আমজাদ হোসেন নতুন জাতের এ পিয়াজ বীজের গুনাগুন সম্পর্কে স্থানীয় কৃষকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। এছাড়া স্থানীয় ডিলার হুমায়ন কবীর রঙ্গিলা-৭ সীড সম্পর্কে বক্তব্য দেন৷ তিনি বলেন শুরুতে শুধু পরিচিত কয়েকজনকে এই বীজ দিয়েছিলাম অন্যান্যরা ঝুকি নিতে চায়নি।
এছাড়াও এ সময় স্থানীয় অন্যান্য কৃষকরা এ পিয়াজের বীজের ব্যাপারে উৎসাহ দেখা যায় । স্থানীয় কৃষক রফিক মিয়া, আলাউদ্দিন সহ সবাই এই পেয়াজের চাষের আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। কারন দেশি পিয়াজের চেয়ে এ পিয়াজের চারগুণ ফলন বেশি। সারা বছর স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণ উপযোগী এ পিয়াজ চাষাবাদে কৃষকরা লাভবান হবেন। পাশাপাশি বিদেশ থেকে পিয়াজ আমদানির ওপর প্রভাব কমবে। অনুষ্ঠান শেষে কর্মকর্তারা কৃষকদের নিয়ে চরফরাদি গ্রামের কৃষক লাভলু মিয়ার পরীক্ষামূলক রোপিত এ জাতের পিয়াজের প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করেন।