মো.সজিবুর রহমান: পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন থেকেই রাজবাড়ীতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। কিছু কিছু সবজির দাম গত এক সপ্তাহের তুলনায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। হঠাৎ করেই সবজির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। দাম বৃদ্ধির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা।তবে খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, মোকামে দাম বাড়ার কারণেই বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে।সোমবার (৩ মার্চ) সকালে রাজবাড়ী বড় বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, বাজারের সবধরনের সবজির ভালো সরবরাহ রয়েছে। তারপরও গত সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু কিছু সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। যে বেগুন গত সপ্তাহে ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা সেই বেগুন বেড়ে এখন ৬০ টাকা ও গোল বেগুন ৭০ টাকা, খিরা ২০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৪০ টাকা কেজি, প্রতি হালি লেবু ৩০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে বেড়ে ৪০ থেকে ৬০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে, আলু ১৮ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে ২২ থেকে ২৫ টাকা। এছাড়া বর্তমানে প্রতি কেজি শশা ৫০ টাকা ,কাচা পেঁপে ৩০টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, ফুল কপি ৩০ টাকা, বাধাকপি ১০ থেকে ১৫ টাকা, গাজর ৩৫ টাকা, কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকা, ঢেঁড়শ ৮০ টাকা, সিম ৩০ টাকা, রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আদা ১২০ টাকা, কাঁচাকলা প্রতি হালি ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজি কিনতে আসা কাজী আকমল হোসেন বলেন, রমজান শুরু হয়েছে আর কাঁচাবাজারের প্রতিটা সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে রমজানকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর হিড়িক বেধে যায় কে কত কমাতে পারে। আর আমাদের দেশে এর উল্টোটা। কে কত দাম বাড়াতে পারে সেই প্রতিযোগিতা চলছে। বাজারে এক এক দোকানে এক এক দাম সবজির।তাই প্রশাসনের উচিত বিষয়টি তদারকি করা।
রাজবাড়ী বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা ঈমান আলী বলেন, পণ্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা যেমন দামে কিনছি সেই মোতাবেক বিক্রি করছি। রমজানকে ঘিরে মোকামেই বেশ কিছু পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী।রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে সেসব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বাধ্য হয়ে আমাদেরকে বাড়তি দামে কিনতে হওয়ায় সেই মোতাবেক বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বলেন, রমজানকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন স্বাভাবিক থাকে এবং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আমরা নিয়মিত বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান চালাচ্ছি। আর্থিক জরিমানাসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যেগেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।’