রাজবাড়ী জার্নাল ডেস্কঃ প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া চক্রের পাঁচ জন কে আটক করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এসময় তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফির প্রমাণসহ দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, পাঁচটি মেমোরি কার্ড, ভুয়া কাবিননামার কপি ও বিয়ের হলফনামার কপি স্ট্যাম্প, মেজর কুমিল্লা ক্যান্টনম্যান্ট এর ২ টি সীল, আর্মিতে চাকুরীরত থাকার মেজর কর্তৃক স্বাক্ষরিত ভূয়া একটি প্রত্যয়ন পত্র সহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
২৯ মার্চ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন ডিবি’র ওসি মো. মনিরুজ্জামান খান ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান খান এ তথ্য জানান।
ডিবি’র ওসি জানান, গ্রেপ্তার পাঁচ জনের মধ্যে রিমা খাতুন ফেসবুকের মাধ্যমে মাহফুজ নামে এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কথা বলার জন্য মাসুদুর রহমানের বাসায় ডেকে আনেন। সেখানে মাসুদুর রহমান, জামাল সরদার ও ফজলুল হক রিমা ও মাহফুজকে উলঙ্গ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তারা মাহফুজের পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করে। পরে তারা এমদাদ হোসেনের মাধ্যমে বিয়ের ভুয়া কাবিননামা এবং নোটারি পাবলিকের হলফনামা তৈরি করে মাহফুজের পরিবারের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে।
এ ঘটনা মাহফুজের বাবা শাহজাহান খান রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়। ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাতে গোয়েন্দা পুলিশর একটি দল রাজবাড়ীর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের সদস্য রাজবাড়ী শহরের বিনোদপর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. মাসুদুর রহমান (৪৫), সদর উপজেলার বাগমারা গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে মোছা. রিমা খাতুন (২৬), ভবানীপুর গ্রামের মৃত বানু মোল্লার ছেলে মো. ফজলুল হক (৫৩), লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের মৃত ক্বারী আনোয়ার উল্লাহর ছেলে বিয়ের কাজি মো. এমদাদ হোসেন (৫৯) ও কালুখালী উপজেলার মদাপুর গ্রামের আবুল সরদারের ছেলে জামাল সরদার (৫২) কে আটক করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফির প্রমাণসহ দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, পাঁচটি মেমোরি কার্ড, ভুয়া কাবিননামার কপি ও বিয়ের হলফনামার কপি ,স্ট্যাম্প, মেজর কুমিল্লা ক্যান্টনম্যান্ট এর ২ টি সীল, আর্মিতে চাকুরীরত থাকার মেজর কর্তৃক স্বাক্ষরিত ভূয়া একটি প্রত্যয়ন পত্রসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।