রাজবাড়ী জার্নাল: রাজবাড়ী-২ (পাংশা, বালিয়াকান্দি,কালুখালী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী হকের কর্মীদের উপর হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রচারনায় বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজবাড়ী শহরের দৈনিক জনতার আদালত কার্যালয়ে জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী হক।
তিনি আরও বলেন, প্রচারণা শুরু হওয়ার পর তাকে এক মুহূর্তও স্বস্তিতে থাকতে দেয়া হয়নি। কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে, হামলা হয়েছে। ভোট চাইতে গেলে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। প্রচার মাইক ভেঙে ফেলা হয়েছে। পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। ফেস্টুন ভেঙে পানিতে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। তার এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তাকেও নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। শত বাধা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসা, উৎসাহ, উদ্দীপনা আর সাহস নিয়ে আমি নির্বাচনের মাঠে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি। সকলের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসায় কোনো হুমকি ধমকিকে ভয় পাইনা। যেখানে গিয়েছি মানুষের বুক ভরা ভালোবাসা পেয়েছি। মহান আল্লাহ পাক আমাকে জনসেবার সুযোগ দিলে ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই।
রাজবাড়ী-২ আসনের তিন উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে সবার সাথে কুশল বিনিময়ের একান্ত ইচ্ছা থাকা সত্বেও সময়ের অভাবে এবং নির্বাচনী নানা বাধা-বিপত্তি প্রতিবন্ধকতার কারণে সবার দ্বারে দ্বারে যেতে পারিনি। তার এ অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য সবার কাছে করজোরে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি বলেন আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ। কৃষক শ্রমিক মেহনতি তথা আপামর মানুষের সেবক হতে চাই । নির্বাচনে নেমে ভোটারদের যে উৎসাহ দেখেছেন এটাই তার নির্বাচনে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। ভোটারদের অকুণ্ঠ ভালোবাসাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস এবং শক্তির উৎস।
তিনি আরোও বলেন, তার জীবনের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। শুধু সুখে-দুখে ভোটারদের সাথে কাটাতে চান। সব সময় পাশে ছিলাম আছি এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে পাশে থাকব ইনশাল্লাহ। কোন রক্তচক্ষুকে ভয় পাবেন না। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সুন্দর নির্বাচন করার জন্য তারা বদ্ধ পরিকর।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার ইচ্ছানুযায়ী এবং রাজবাড়ী-২ আসনের প্রকৃত নির্যাতিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত, শোষিত মানুষের কথা বিবেচনা করে জনতার প্রার্থী ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।
পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা এলাকার অবস্থা কারো অজানা নয়। সকলের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ভিন্নমত প্রকাশ করলেই তার উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। একটি দুর্বৃত্ত শ্রেণির মানুষের কাছে পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালীর মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। এভাবে আর চলতে পারেনা। সুতরাং ভয়কে জয় করে এগিয়ে যেতে হবে। বিজয়ী হলে এ অঞ্চলের সকল প্রকার সন্ত্রাস চিরতরে নির্বাসনে পাঠানো হবে। আমার নির্বাচনী এলাকার সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ নির্ভয়ে শান্তিতে বসবাস করবে- এটাই আমার অঙ্গীকার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জল দৃষ্টান্ত হবে রাজবাড়-২ আসনের আমার নির্বাচনী এলাকা।
তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি সব শ্রেণি পেশার মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট ঈগল প্রতিকে দিয়ে রাজবাড়ী-২ আসন এলাকার সকল প্রকার সন্ত্রাস, নৈরাজ্য এবং দুর্বৃত্তায়নের জবাব দিন। ঈগল প্রতীক পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী উপজেলার নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের মুক্তির প্রতীক। ‘