রাজবাড়ী জার্নাল ডেস্কঃ রাজবাড়ীতে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে পালিয়ে গেছে স্বামী মোবারক। ১৮ই অক্টবর দিনগত রাতে সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের পাগরিকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে স্বামীকে একতরফা তালাক দিয়ে সবানা বেগম (২৮) তার ৭ বছর বয়সী ছেলে সন্তান নিয়ে দাদশী ইউনিয়নের পাগরিকান্দায় বাবার বাড়ীতে থাকতেন। রাতে প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে বাইরে বের হলে তার স্বামী মোবারক ঘরে প্রবেশ করে সাবানা বেগমের মুখ চেপে চাকু দিয়ে জবাই করার চেষ্টা করে । পরে সাবান চিৎকারে ছেলের ঘুম ভেঙ্গে গেলে মা ছেলের চিৎকারে পরিবারের অন্য সবার ঘুম ভেঙ্গেযায় । এরপর স্বামী মোবারক পালিয়ে যায়। পরে তাকে রাজবাড়ী সদর হাস্পাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সাবানার পরিবারের পক্ষ থেকে জানাগেছে, ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের মৃত ইসলাম শেখের ছেলে মোবারক শেখ (৫০) এর সাথে সাবানার বিয়ে হয়। তাদের ৭ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। মোবারক প্রায় ই তার স্ত্রীকে মারধর করতো । গত দুই মাস আগে সাবানা বাবার বাড়ীতে চলে আসে পরে স্বামী মোবারককে একতরফা তালাক দেয়। এতে মোবারক ক্ষিপ্ত হয়ে সাবানাকে হত্যা চেষ্টা করে।
সাবানার ভাই জহির জানান, জহির জানান, বুধবার (১৮ অক্টোবর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে সাবানা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হন। সেসময় তার ছেলে ওই ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এ সুযোগে ঘরে ঢুকে ওত পেতে থাকেন মোবারক। সাবানা ঘরে ঢোকামাত্রই ধারালো চাকু দিয়ে তাকে গলাকেটে হত্যা চেষ্টা করেন। সাবানার চিৎকারে তার ছেলের ঘুম ভেঙে যায়। এসময় মা-ছেলে জোরে চিৎকার-চেঁচামেচি করলে পরিবারের অন্য সদস্যদের ঘুম ভেঙে যায়। তখন মোবারক দৌড়ে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ইফতেখারুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত মোবারককে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ।