রাজবাড়ী জার্নালঃ রাজবাড়ীর পাংশায় অস্ত্র, কার্তুজ ও কক্টেল সহ দুইজনকে গ্রেফতার করে পাংশা মডেল থানা পুলিশ । এ সময় পালিয়ে যায় আরেকজন ।
গ্রেফতারকৃতরা হলোঃ পাংশার কুঠিমালিয়াট পশ্চিম পাড়ার মৃত কাদের মন্ডলের ছেলে মোঃ কফিল উদ্দিন ওরফে কইফে (২৭) ও কুঠিমালিয়াট মধ্য পাড়ার মোঃ আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে শাওন (২২) । এ সময় অপর আসামী নাওড়া বনগ্রামের মৃত শশধর বিশ্বাসের ছেলে তুষার (৪২) দৌড়ে পালিয়ে যায় ।
২৫শে ফেব্রুয়ারি (রবিবার) রাত ১০ টার দিকে কুঠিমালিয়াট জনৈক নাছিমার বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয় ।
২৬শে ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দুপুরে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদ্য পদন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার ) মোঃ রেজাউল করিম স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সময় সহকারি পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা , পাংশা মডেল থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার কফিল উদ্দিন ওরফে কইফে স্বীকার করে যে , মকবুল হোসেনের ছেলে আলাল হোসেনের সাথে পূর্ব শত্রুতার কারনে হত্যা করার পরিকল্পনা করছিলো এবং শাওন মোংলা মোল্লার ছেলে মনিরুল ইসলামকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারনে হত্যা করার পরিকল্পনা করছিলো । মনিরুল ও আলাল কে গুলি করে হত্যা করার পর ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য পলাতক আসামী তুষার অস্ত্র ও গুলি নিয়ে এসেছে বলে জানায় গ্রেফতার আসামীরা ।
তিনি আরোও বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে পাংশার পাট্রা ইউনিয়নে রোজিনা ওরফে আরজিনা কে হত্যার ঘটনায় শিহাব শেখকে (৪৫) কে গ্রেফতারের পর তদন্তকালে আমরা জানতে পারিযে, পাংশার অনেক দাগি আসামী ভারতে আত্নগোপনে আছে। সেখানে থেকে তারা ভাড়া করা খুনিদের দিয়ে পাংশায় খুন হত্যার মত জঘন্যতম কাজ করে থাকে। পাংশায় একটা গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে । যার মাধ্যমে ভারতে থেকে ঐসকল অপরাধীরা এই গ্রুপকে কাজে লাগিয়ে এ অপরাধ করে যাচ্ছে।
মনিরুল ও আলাল নামে দুইজনকে হত্যা করার পূর্বমুহুর্তে পাংশা মডেল থানা পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করে । এবং আসামীদের গ্রেফতার করে । এ সময় কশবা মাঝাইলের কুঠিমালিয়াট নাছিমা বেগমের বাড়ী থেকে ২টি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটার ৪টি তাজা কার্তুজ ও শপিং ব্যাগে থাকা ৬টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে ।