রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার নেতৃত্বে এক সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই নেতার নাম মো. তৌহিদ। সে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মুলঘর ইউনিয়নের মোঃ আজিবর গায়েনএর ছেলে ।
বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকেল তিন টার দিকে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
ওই সাংবাদিকের নাম কবির হোসেন (৩৫)। তিনি দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকা ও ইংরেজি ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমস এর রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি। তাঁর বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে। বাবার নাম মতিউর রহমান।
অভিযুক্ত মো. তৌহিদ মূলঘর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তাঁর চাচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
লিখত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেলা ৩টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য কবির হোসেন আরেক সাংবাদিককে নিয়ে মোটরসাইকেলে সুলতানপুর যাচ্ছিলেন। পথে মূলঘর ইউনিয়নের রশোড়া গ্রামের চেয়ারম্যানের মোড়ে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় তৌহিদের নেতৃত্বে ৫-৬ জন মিজান টেলিকম নামের একটি দোকানের ভেতরে দোকানের মালিককে মারধর করছিলেন। সাংবাদিক কবির হোসেন এ সময় স্থানীয় একজনের কাছে জানতে চান এখানে কি নিয়ে মারামারি হচ্ছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তৌহিদ তাঁর ওপর চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি কিল–ঘুষি, চড়থাপ্পড় মারতে থাকেন তৌহিদ ও তাঁর লোকজন। কবিরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।
কবির হোসেন বলেন, এরপর আমি সুলতানপুরের উদ্দেশে রওনা দিই। কিছু সময় পর দেখতে পাই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে তারা আমাকে ধাওয়া করে। আমি মুঠোফোনে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করি। কোলারহাট পেঁয়াজ বাজারে পৌঁছানোর আগেই আমাকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘিরে ধরে তারা। এ সময় আমাকে মারধর করা হয়। আমার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। মুঠোফোন ভেঙে ফেলে। মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আমি রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে বিশ্রামে আছি।’
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘটনাটি শোনার পর তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
‘এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে স্থানীয় সাংবাদিক ও শুশীল সমাজ ।