Friday, November 15, 2024

রাজবাড়ীর রামকান্তপুরে ছুরিকাঘাতে আলীহোসেন নামে একজন গুরুত্বর জখম

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাড়ীর বাউন্ডারি ও রান্না ঘর ভাংচুরের ঘটনায় আলী হোসেন নামে একজন কে চাকুর আঘাতে গুরুত্বর জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রামকান্তপুর গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দ  মৃতঃ আঃ বাতেনের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান জানান,  রাতে অন্ধকারে  বাড়ীর বাউন্ডারি ভেঙ্গে ঘর ভাংচুর করেছে প্রতিবেশী আঃ রাজ্জাকের ছেলে আলামীন (২৪), নুর ইসলামের ছেলে আজিজুল ও তার মা আসমা সহ অজ্ঞাত ৫-৭ জন । বাধা দিলে হত্যা করে ফেলবে বলে হুমকি দেয় তারা।

এ ঘটনায় সকালে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্যদের ডাকলে সকাল সারে ৭ তার দিকে  স্থানীয় ৬নং ইউপি সদস্য ইব্রাহীম, ৪নং ইউপি সদস্য আবুল কালাম, রামকান্তপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি আহসানউল্লাহ আমাদের বাড়ীতে আসেন।

এ নিয়ে আলোচনার এক প্রেক্ষিতে আলী হোসেনকে আঃ রাজ্জাকের ছেলে আলামীন গিয়ার চাকু দিয়ে বুকে ঢুকিয়ে দেয়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাজবাড়ী সদর হাঁসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাঁসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানাগেছে, রামকান্তপুর ৪ নং ওয়ার্ডের বাসীন্দা মৃত: আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বাড়ী নির্মান করে বাউন্ডারী দেয়। পাশদিয়েই সিদ্দিকের ভাই   নুর ইসলাম ও প্রতিবেশী রাজ্জাকদের যাতায়াতের রাস্তা। সিদ্দিকের বাড়ীর বাউন্ডারি নির্মানের কারনে যাতায়াতের রাস্তা সংকোচিত হয়ে গেলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ,মেম্বারগণ বসে রাস্তার যায়গা রেখে বাউন্ডারি পুনঃনির্মানের কথা বলেন।

এ বিষয়ে সিদ্দিক বলেন, আমার নিজের যায়গায় ই বাউন্ডারি করেছি। যাতায়াতের রাস্তাও আমার যায়গার মধ্যেই। চার ফুট যায়গা রেখেই বাউন্ডারি নির্মান করেছি । তবুও যাতায়াতের জন্য যেহেতু আরো যায়গা প্রয়োজন তাই এক সপ্তাহের মধ্যেই বাউন্ডারি ভেঙ্গে দুই ফিট ভেতরে বাউন্ডারি নির্মান করবো । যেহেতু এলাকার গণ্যমান্যরা উপস্থিত থেকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমি তাদের কথা মেনে এক সপ্তাহের সময় নেই। যেহেতু বাউন্ডারি ভাঙ্গতে মিস্ত্রীর দরকার ,টাকা পয়সারও দরকার।

কিন্তু সময়ের আগেই সোমবার  (২৬ শে সেপ্টেম্বর) রাতে আঃ রাজ্জাকের ছেলে আলামীন (২৪), নুর ইসলামের ছেলে আজিজুল ও তার মা আসমা সহ অজ্ঞাত ৫-৭ জন রাতের অন্ধকারে দেশিয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে আমার বাউন্ডারি ও রান্না ঘর ভেঙ্গে ফেলে । বাধা দিলে গুলি করে হত্যা করে ফেলবে বলে হুমকি দেয় আঃ রাজ্জাকের ছেলে আলামীন ।

এ ঘটনায় পরদিন মঙ্গলবার  সকালে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্যদের ডাকলে সকাল সারে ৭ তার দিকে  স্থানীয় ৬নং ইউপি সদস্য ইব্রাহীম, ৪নং ইউপি সদস্য আবুল কালাম, রামকান্তপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি আহসানউল্লাহ আমাদের বাড়ীতে আসেন।

এ নিয়ে আলোচনার এক প্রেক্ষিতে আমার ভাই আলী হোসেনকে আঃ রাজ্জাকের ছেলে আলামীন গিয়ার চাকু দিয়ে বুকে ঢুকিয়ে দেয়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাজবাড়ী সদর হাঁসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাঁসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে আমার ভাই ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন ।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here