- নেহাল আহমেদ।রাজবাড়ী:গত কয়েক দশকে রাজবাড়ী জেলার শত শত বসত ভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে৷ হারিয়ে গেছে ফসলি জমি।হুমকির মুখে পড়েছে রাজবাড়ী জেলা। ইতিমধ্যে পৌরসভার ১ নং ওর্য়াড়ের কিছু ঘরবাড়ী নদীর গর্ভে হারিয়ে গেছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৭৬ কোটি টাকার প্রকল্পের মেরামত কাজ সরোজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি।১৬ শ ১৩ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত অংশে মেরামত কাজের অগ্রগতি এবং পরামর্শ দেন তিনি এ সময়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়ানোর উপায় নেই৷ বিশেষত বাংলাদেশের মানুষ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেই টিকে আছে৷ কিন্তু অন্যান্য দুর্যোগের সঙ্গে নদী ভাঙনের পার্থক্য হচ্ছে, ভাঙন কবলিত মানুষ এক ধাক্কায় পায়ের নীচের মাটিটুকুও হারিয়ে ফেলে৷ বন্যায় সব ধুয়ে গেলে, ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে গেলেও ভিটেমাটিটুকু থাকে৷ কিন্তু নদীভাঙনে সেটুকুও থাকার জো নেই৷
আমরা দেখি, প্রতি বছরই বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হয় ভাঙন রোধে৷ যেমন, এই মুহূর্তে সরকারী তিনশত ছিয়াত্তর কোটি টাকার প্রকল্পের কাজরশেষ হওয়ার পরও কোন কাজে আসেনি রাজবাড়ী শহর রক্ষা বা তীর সংরক্ষণ সংক্রান্ত প্রকল্প।এলাকা বাসীর অভিযোগ নিম্নমানের কাজ।সঠিক পরিকল্পনা এবং অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন এর জন্য দায়ী।সরোজমিনে দেখা যায় নদীর কয়েক শ ফিটের মধ্যে বি ডাবলু ডি বি রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের ট্যানেল ঠিক রাখার জন্য ড্রেজিং করছে।এই ড্রেজিং নদী ভাঙ্গন ত্বরান্বিত করবে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকোশলী আবদুল হেকিম জানান।নদী পাড়ের ৫ শত মিটার দুরত্বে নদী খনন ঝুকিঁর মধ্যে ফেলতে পারে
এ ব্যাপারে আমরা সংশির্ষ্ট মন্ত্রণালয় কে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদ সদস্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা এম,পি বলেন রাজবাড়ী রক্ষা এবং নদী ভাঙ্গন রোধে যা যা করা দরকার আমি করবো।ইতিমধ্য মাননীয় মন্ত্রী এসে সরোজমিনে দেখে গেছেন
তাছাড়া আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।আমার জন্ম এখানে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমি রক্ষা করবো