Thursday, September 19, 2024

নদী ভাঙ্গন রোধে যা করনীয় তা-ই করবো- এমপি সালমা চৌধুরী 

  • মাত্র কয়েকদিনের ব্যাবধানে রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীতে কয়েক জায়গায় ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। মুহুর্তে বিলীন হয়ে গেছে নদীর রক্ষায় ব্যবহৃত কয়েক হাজার সি,সি ব্লক। দুইশত  গজের মধ্যে দুই মাসের ব্যবধানে তিন জায়গায় ভাঙ্গন দেখা যায় ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক দেখা দেয়।

মঙ্গলবার সকালে পদ্মানদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন সংরক্ষিত মহিলা আসন(৩৩৪) এম,পি সালমা চৌধুরী। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা রাজবাড়ী সদর উপজেলা  চেয়ারম্যান এড,  ইমদাদুল হক বিশ্বাস । এ সময় তারা প্রকল্পের বিষয়ে সমস্ত তথ্য নিয়ে কথা বলেন এবং প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে পরামর্শ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পশ্চিমাঞ্চল বাপাউবো ( ফরিদপুর অঞ্চল) আব্দুল হেকিম, রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী আব্দুল আহাদ।

নদীর প্রকৃতি এবং আচরনে সিমেন্টের সিসি ব্লক,  জিও ব্যাগ কোন কাজে আসবেনা বলে জানান অনেকেই।স্থানীয় জনগন জানান যদি বালির বস্তা ফেলেই নদী রক্ষা করা হয় তা হলে এতো টাকার প্রজেক্ট করার কি দরকার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন জানান নদীর গভীরতা অনুসারে সাইড ওয়াল হয়নি ব্লক ডাম্পিং যে অনুসারে করা হয় সেটা হলে এই ভাঙ্গন হতো না। প্রয়োজন ছিল ঘুর্ণায়মান এলাকায় স্পার্ক করে বড় ব্লক দেয়া।এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী প্রকোশলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, নদী যাতে না ভাঙ্গে সে ব্যাপারে আমরা সর্তক রয়েছি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক বিশ্বাস এ সময় বলেন , যদি এর  মধ্যে রাজবাড়ীর ভেঙ্গে যায় দায় কে নেবে।এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধান নির্বাহী প্রকোশলী বলেন আমি সম্পুর্ন আস্থা নিয়ে বলছি সেটা হতে দেবোনা।নদী গতিবিধি, মাটির ধরন সব কিছু পরীক্ষা করেই প্রকল্প তৈরি এবং বাজেট করা হয়।’ কিন্তু  এই প্রকল্পে কি সেটা মানা হয়েছে ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান ২০১৭ সালের প্রকল্প ২০২১ সালে নদীর অনেক পরিবর্তন হয়েছে।ইতিমধ্যেই আমরা কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশিষ্ট্র মন্ত্রনালয় কে অবগত করেছি। সংস্কারের জন্য ৭৬ কোটি টাকা এবং তিনশত বায়ান্ন কোটি টাকা  ব্যয়ে (ড্রেজিং ব্যয় ধরা হয়নি) সারে চার কিলো মিটার নতুন এবং আড়াই কিলোমিটারের ২০১৮ সালে পদ্মা নদীর সংরক্ষণ তীরের কাজ শুরু হয়। কাজটি খুলনা শীপইয়ার্ড পেলেও তারা কাজটি ডিবিএল নামক ঢাকার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর করে। ২০২০ সালে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে শেষ হয়নি। ইতিমধ্যে ৯৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ – ‘ শহর রক্ষা বাঁধের কাজে ত্রুটি রয়েছে। ফলে গোদার বাজারের একটু উজানে নদীর ডান তীর প্রতিরক্ষা কাজের ব্লক দুই মাস না যেতেই তিনটি স্থান ধসে গেছে।
তারা আরও জানান, যেভাবে ধস শুরু হয়েছে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা সংস্কার না করা হলে এলাকার অনেক বাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে , রাজবাড়ী শহর পড়বে হুমকির মুখে।

মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩৩৪ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর  সদস্য সালমা চৌধুরী বলেন,  নদী ভাঙ্গন এবং রাজবাড়ী শহর রক্ষায় যে সব পদক্ষেপ নেয়ার দরকার, সকল ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্ঠা করছি। ইত মধ্যে  সংশিষ্ট্র সবার সাথে যোগাযোগ করছি এবং সার্বক্ষনিক তদারকি করে যাচ্ছি।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here