দেশের অত্যন্ত ব্যাস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটের উভয় ঘাটে অনেকটা ফাঁকা অবস্থায় ফেরিগুলোকে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। লকডাউনে মহাসড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে ঈদ পরবর্তীতে দৌলতদিয়া ঘাটের চিরচেনা সেই রূপ আর নেই।
রোববার সরেজমিনে দেখা যায় , লকডাউনের তৃতীয় দিনে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীদের কিছুটা চাপ ছিলো। এ সকল যাত্রীরা অটোরিক্সা, থ্রীহুইলাসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌছাচ্ছেন। অনেক শ্রমজীবি মানুষকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে পায়ে হেটে ফেরি ঘাটে পৌছান। চলাচলকারী ফেরিগুলো ঘাটে আসা যানবাহন এবং বিপাকে পড়ে আসা মানুষ নিয়েই ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে। তবে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা। একেবারে বিপাকে পড়া মানুষজন চরম রোদ ও গরমে মধ্যে পায়ে হেঁটে কেউ আবার রিকশায় করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নামছেন। আবার অনেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা বা মাহেন্দ্র রিজার্ভ করে ঘাটে আসছেন। তারা কোন বাধার সম্মুখিন না হয়েই সরাসরি ফেরিতে উঠছেন। ফেরিতে ব্যক্তিগত কিছু গাড়ি, এ্যাম্বুলেন্স, মোটরসাইকেল ও আগত যাত্রীদের নিয়েই পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।
পাংশা থেকে অটোরিক্সায় দৌলতদিয়া ঘাটে আসা যাত্রী সাহিন শেখ বলেন, তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। আজ আমাকে ঢাকায় গিয়ে পৌছাতেই হবে। আগামী কাল অফিসে যেতে হবে। লকডাউনের মধ্যে ঢাকা যাওয়া তো খুবই কষ্টকর। তারপর ও চাকরী বাচাতে ঢাকায় যেতেই হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, নৌরুটে ছোট-বড় মিলে মোট ১৫টি ফেরি রয়েছে। যখন যে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন জমে যাচ্ছে তখন সে ঘাট থেকেই ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে।
এছাড়া একটি মাঝারী আকারের ভিআইপি ফেরি রাখা হয়েছে। যে কোন মুহুর্তে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আসলে তাদেরকে পারাপার করা হবে।
Vai ghate r obosta kmon
Janaben please
ভাই ঘাটের প্রতিবন্ধী রা দুরনিতী করছে দেখেন