Friday, February 21, 2025

শবে বরাতে যেভাবে নামাজ পড়লে পূর্ণ হবে আপনার দোয়া!

অনলাইন ডেস্কঃ আজ শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত, যা বিশ্ব মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, এই রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং অনেককে ক্ষমা ও আশীর্বাদ প্রদান করেন। তাই এই রজনীকে আরবিতে ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘নিষ্কৃতি ও মুক্তির রজনী’ বলা হয়।

শবে বরাতের নামাজ-

অনেকেই জানতে চান, শবে বরাতের রাতে কত রাকাত নামাজ পড়তে হবে এবং কীভাবে পড়তে হবে। ইসলামি পণ্ডিতদের মতে, শবে বরাতের নামাজ নফল, যা অন্যান্য নফল নামাজের মতোই। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই রাতের জন্য কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি নির্ধারণ করেননি। তাই সামর্থ্য অনুযায়ী দুই রাকাত করে যতটুকু সম্ভব নফল নামাজ আদায় করা যেতে পারে।

বিশেষত, মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাযত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দুই রাকাত করে মোট ছয় রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম। এছাড়া, এশার জামাতের পর সারারাত দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করা যেতে পারে। যারা পূর্বে কাজা হয়ে যাওয়া নামাজ আদায় করতে চান, তাদের জন্যও এটি একটি বিশেষ সুযোগ।

শবে বরাতের রাতে সালাতুল তাসবীহ নামাজও আদায় করা যেতে পারে, যার রয়েছে বিশেষ ফজিলত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নামাজ হলো উত্তম ইবাদত।’

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

আরবিতে:

“নাওয়াইতু আন্ উছল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”

বাংলায়:

“শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবার।”

শবে বরাতের ফজিলত

হজরত মুয়ায ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।”

এছাড়া, রজব ও শাবান মাসে আল্লাহর রাসূল (সা.) বরকত চেয়ে যে দোয়াটি করেছেন, তা পড়া যেতে পারে।

দোয়া:- —-

আরবি:

اللهم بارك لنا في رجب وشعبان وبلغنا رمضان

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।

অর্থ: হে আল্লাহ! রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন; রমজান আমাদের নসিব করুন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৫৯)

ইসলামি পণ্ডিতরা সবাইকে কোরআন ও হাদিসের অনুসরণ করার এবং বিদয়াত থেকে বেঁচে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা সবাইকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমিন।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here