রাজবাড়ী জার্নালঃ আউলিয়ার দেশ আমাদের এই বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের জন্য এসেছিলেন অনেক ধর্ম প্রচারক । ইতিহাস ঐতিহ্যে ঘেরা পদ্মাকন্যাখ্যাত রাজবাড়ীতে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে এসেছিলেন এ সকল ধর্ম প্রচারক। আর তাদের কবরস্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে তৈরি করা হয়েছে তাদের নামে মাজার । রাজবাড়ীতেও এ সকল আওলিয়াদের রয়েছে অনেক মাজার ।
হযরত শাহ সাবদাল (রহঃ) এর এমনই একটি মাজার অবস্থিত রাজবাড়ীর দাদশী এলাকায়। একটি মাজারের চিত্র আর কিছু অজানা কথা । তবে তিনি কার বংশধর কিং বা কিভাবে এখানে এসেছিলেন তা বলতে পারেন নি এলাকাবাসী । তবে এখানে কোন বৈদ্যতিক বাতি জ্বালালে তা একাই নষ্ট হয়ে যায়। এ কারনে অনেকের মধ্যেই রয়েছে নানা কৌতুহল ।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নে শাহ সাবদাল (রহঃ) আওলিয়া’র মাজার অবস্থিত । এটি স্থানীদের কাছে বেলতলা মাজার নামেও পরিচিত ।
ধারনা করা হয় কয়েকশত বছর আগে এখানে অলৌকিক ভাবে একটি কবর দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা সেই কবর টি কে পাকা করে চারপাশ ঘিরে টিনের চাল দিয়ে প্রাচীর নির্মান করেন। সেই থেকে এ মাজারের প্রচলন। আর এই মাজার পরিচালনা করতে রয়েছে একটি মাজার কমিটি ।
রোগ ব্যাধী সহ নানা বিষয় নিয়ে অনেকেই দূর দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন এ মাজারে মানত করতে। আর আশা পূরণ হলে তা মাজারের নামে দান করেন । প্রতি বছরের ১৯শে অগ্রহায়ন বড় আকারের ওরশ মাহফিল হয় এ মাজারে ।
মুক্তি নামে স্থানীয় একজন জানান্ন, দাদুর মুখে শোনা কথা, অনেক আগে একটা কবর দেখতে পান তার দাদু । ইটের এই কবরটি পরে স্থানীয়রা প্রাচীর নির্মান করেন কবরের চারপাশে। এখানে প্রতি শুক্রবার একমহিলা কবর পরিষ্কার ও ধোয়ামোছার কাজ করেন। কবর ধোয়া পানি অনেকেই নিয়ত করে খান। অনেকের রোগব্যাধী ভালোহয় শুনেছি। নিয়ত করে যে যার মত গরু,ছাগল,মুরগী,দুধ দান করেন এ মাজারে।
আছিয়া নামে প্রতিবেশী জানান, আমার বাবা’র মুখে শুনেছি-এ মাজারের পাশে একজন ডুলি ছিলেন। তাকে স্বপ্নে না করা হয়েছিলো এ মাজারের কথা কাউকে বলতে । পরে নাকি তার বংশের কেউ ছিলেন না । এখানে বিদ্যুতের বাতি দিলে গভীর রাতে তা নিভে যায়।
রমজান, নজরুল সহ স্থানীয়রা মাজার রক্ষা ও দেখাশুনার দায়িত্বে একটি কমিটি গঠন করেছেন। প্রতি বছরের ১৯শে অগ্রহায়ন মাসে বড় আকারের ওরশ মাহফিল হয় এ মাজারে।
ভিডিও দেখতে –