স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতী রেজাউল করীম বলেছেন, আমাদের মাহফুজ, আমাদের উপদেষ্টা সে ওখানে গিয়েছিল ছাত্রদের কথা শোনার জন্য। কিন্তু তার ওপর যে অতর্কিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে এটা কিন্তু অনৈতিক-অসামাজিক। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আর সাথে সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো আপনারা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিন। সেই লক্ষ্যে আমি সকলকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি আমাদের দেশ গড়ার ব্যাপারে, আমরা সবাই যেন এক হয়ে কাজ করি।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজবাড়ী সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, বর্তমানে আমরা লক্ষ করছি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। দাবি থাকবেই, কিন্তু সরকার এটা বাস্তবায়ন করবে। সবই ঠিক আছে, কিন্তু একটা নিয়ম থাকা চাই। এই সুযোগে যেন আবার ফ্যাসিস্ট এবং আমাদের দেশের যারা কল্যাণ চায় না তারা সুযোগ পেয়ে আবার রাস্তায় উঠতে না পারে। এ বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা সবাই একত্রিত হয়ে নেমেছিলাম দেশকে সুন্দর করার লক্ষ্যে। সেখানি যদি আজকে আমাদের তৎপরতার কারণে তারা (ফ্যাসিস্টরা) সুযোগ পায়, তাহলে আমাদের নিজেদের পায়ে নিজেদের কুড়াল মারা হবে। এটা আমাদের লক্ষ রাখতে হবে। আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলবো আপনারা তাদের ন্যায্য দাবিগুলো খুব তাড়াতাড়ি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেবেন।
মুফতী রেজাউল করীম বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য যে রাজনৈতিক দল রয়েছে আমরা কিন্তু কারও শত্রু নই। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর শেষ হয়ে ৫৪ বছরে পড়েছে। কিন্তু যারাই ৫৩ বছর দেশ পরিচালনা করেছে তাদের থেকে আমরা ভালো কিছু পাইনি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যে ফ্যাসিস্টরা পালিয়েছে তারা দেশ থেকে ২৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আপনারা দেখেছেন রাস্তায় নামলে মানুষ গুম হয়ে যেত, ঘরে থাকলে খুন হয়ে যেত। তারা আমাদের দেশে বসে পাশের রাষ্ট্র ভারতের দালালি করতো। এটা কিন্তু তাদের স্বীকৃত কথা। তাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছে দিল্লি আছে তো আমরা আছি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজবাড়ী সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ শেখের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দলের রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম খান (জাহিদ হাসান), জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ জেলা শাখার সেক্রেটারি কারি মুহাম্মদ আবু ইউসুফ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতী মোস্তফা কামাল ফরিদপুরী, সাবেক সভাপতি মুফতি শামসুল হুদা, জেলা শাখার সেক্রেটারি মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। ‘