বাগেরহাটের মোংলায় শামসুর রহমান রোডে সন্ধ্যা নামলেই বসে মাদক সেবনকারী ও মাদক বিক্রেতাদের আড্ডা। এলাকায় বসবাসের জন্য চরম ঝুকি বাড়ছে এ মাদক সেবনকারীদের জন্য । বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেই ওই সড়কের বিভিন্ন অন্ধকারাচ্ছন্ন ছোট ছোট রাস্তার স্পটে বসে মাদকসেবীদের ভয়াবহ আড্ডা। রাস্তার পাশের দোকান গুলোতে চুরির ঘটনাও ঘটেছে কয়েকবার। সন্ধ্যার পর এদের উৎপাতে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াও সমস্যা হয় বলে কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শামসুর রহমান রোডের কয়েকটি ছোট অন্ধকার রাস্তার বিভিন্ন স্পটে মাদকসেবীরা ছোট ছোট দলে বসে মাদক সেবন করছে। ছোট রাস্তা গুলিতে কোনো প্রকার বাতি না থাকার কারণে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের পছন্দের স্থান এখন এই সড়কটি। এছাড়াও কঠোর লকডাউনের মধ্যেও থেমে ছিল না এ মাদকের আড্ডা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। অফিসের কাজে আমার অনেক রাত হয় বাসায় ফিরতে। কখনো এই রাস্তায় হাটতে ভয় পাইনি, কিন্তু এখন পাই। স্থানীয়রা কোনো প্রকার বাধা দিলে তাদের বাসার সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ সহ ভয় দেখানো হয়।
তিনি আরো বলেন, এখানে যারাই এমন অপরাধমূলক কাজ করছে তারা সবাই এলাকার ও এলাকার বাইরের মাদকসেবন কারী ছেলেরা । রাতে যারাই আড্ডা দেয় এবং নেশা করে তাদের দেখা যায় এ রাস্তায় । এ রাস্তাটি কিছুটা অন্ধকার হওয়াতে তারা এমন সুযোগ পাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত যতদ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া।
মোংলা পোর্ট পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এইচ এম শরিফুল ইসলাম জানান, শামসুর রহমান রোডে মাদক সেবীদের বিরুদ্বে প্রায়ই আমার কাছে অভিযোগ আসে ওই এলাকার স্থানীয়দের কাছ থেকে। আমার ওয়ার্ডে মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া হবে না তাতে সে যেই হোক। প্রশাসনের সাথে আলাপ করে অতি দ্রুত এর ব্যাবস্থা করার আশ্বাস দেন তিনি।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, মাদকের বিরুদ্বে কোন ছাড় দেয়া হবে না । শামসুর রহমান রোডে মাদক সেবনকারী ও মাদক বিক্রেতাদের আড্ডার ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদকের বিরুদ্বে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।