বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি : চারদিকে হলুদের সমারোহ । এযেন এক হলুদের স্বর্গরাজ্য ,চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো এ জায়গায় সরিষা থেকে মধু সংগ্রহ করছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার মনিরুজ্জামান ও এনামুল হক সজীব নামে দুই যুবক ।
সরেজমিন, সরিষার খেতে গিয়ে দেখা যায় ,দুই যুবক মধু সংগ্রহের ডিজিটাল বক্স্র থেকে মধু সংগ্রহের কাজ করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু তালেব বলেন, দুই বন্ধু মিলে সরিষা থেকে মধু সংগ্রহ করে তারা এলাকার মানুষের কাছে বিক্রি করছেন। তাদের এমন কাজ দেখে আমরা এলাকার মানুষ অনেক খুশি।
এ বিষয়ে মধুচাষী এনামুল হক সজীব বলেন, প্রায় ৭বছর আগে টাঙ্গাইল থেকে আশরাফ নামে এক মধুচাষী আমাদের এলাকায় আসতো। সেখানে আসার পর সরিষা থেকে মধু সংগ্রহ করতেন তিনি। মূলত: আমরা দুইবন্ধু নিজেদের কৌতুহল থেকে আমরা তার কাছ থেকে মধু সংগ্রহের কাজ অনুসরন করি।এছাড়াও বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো নুরল হক স্যার আমাদের ৫টি ডিজিটাল বক্স দিলে আমারা মধু সংগ্রহের কাজ করছি। সরিষা থেকে মধু সংগ্রহ করে আমরা এলাকার মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারছি।
অপর যুবক পূর্বমৌকুড়ি গ্রামের মনিরুজ্জামান বলেন, আমার বড় দুলাভাই কৃষিবিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তারসহযোগীতা ও উৎসাহে আমি এ কাজে আসতে পেরেছি।বর্তমানে আমার বাড়ির পাশের এক ভাবির বাড়ির ছাদে আমি ডিজিটাল বক্স্র রেখে মৌমাছি থেকে মধু সংহের কাজ করছি। প্রতি ১০দিন পরপর বক্সগুলো থেকে ৩৫ থেকে ৪০ কেজি করে মধু উৎপাদন হয়। প্রতি কেজি মধু আমরা ৫০০/৬০০ কেজিতে বিক্রি করি।
এ বিষয়ে বলিয়াকান্দি উপজেলা
কৃষিকর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, গতবছর বালিয়াকান্দি উপজেলায় ৪৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ ছিলো এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ৭০০ হেক্টর জমিতে টার্গেট করেছি। ইতিমধ্যে আমরা ১০জন মধুচাষীকে আমার উপজেলা থেকে মৌবক্স,ও মৌ-কলনী সরবরাহ করেছি। আমারা আশা রাখি সরিষা থেকে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো।’