রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর গত ২৩শে সেপ্টেম্বর রাজবাড়ীর পালকি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিক সম্মেলনে দেওয়া বক্ত্যব্যের আংশিক প্রতিবাদ করেছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা ছাত্র লীগের সহ সম্পাদক সামছুল সালেহীন অপু।
সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া এক লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ১০ ই অক্টোবর তিনি প্রতিবাদ জানান।
লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৩শে সেপ্টেম্বর রাজবাড়ীর পালকি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজবাড়ী -১ আসনের এমপি আলহ্বাজ কাজী কেরামত আলী উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আমাকে জড়িয়ে উশৃঙ্খল ও বি এন পি পরিবারের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করে কি কারনে বক্তব্য প্রদান করলেন তা আমার বোধগম্য নয়।
৫ বারের নির্বাচিত মাননীয় এমপি আমার সম্পর্কে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেন তা সম্পূর্ণরূপে অসত্য ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। একজন সাবেক প্রতি মন্ত্রী ও রাজবাড়ী ১ আসন থেকে পাঁচ বারের নির্বাচিত সাংসদের কাছ থেকে এ ধরণের বক্তব্য আমাকে বিস্মিত করেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ৩১ শে নভেম্বর থেকে ৩১শে জানুয়ারী ২০২১ইং তারিখ পর্যন্ত আমি রাজবাড়ী সদর উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করিয়েছি। আমার কর্মকালীন সময়ে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে জনাব আলহ্বাজ কাজী কেরামত আলীকে বিজয়ী করার ক্ষেত্রে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা ছাত্র লীগের নির্দেশে জেলা ছাত্র লীগের ভূমিকা স্মরণ করার মত ।
একজন ক্ষুদ্র ব্যাক্তি বা কর্মী হিসাবে প্রত্যেকেরই পৃথক সত্তা ও অস্তিত্ব বিদ্যমান। এখানে কাউকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ভাবার অবকাশ নেই। কারন আওয়ামীলীগের প্রতিটি ক্ষুদ্র কর্মীর অবদান একীভূত করেই জনাব আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী একজন মাননীয় সংসদ সদস্য। আমাদের মনে রাখা উচিত আওয়ামী লীগের প্রতিটি রাজনৈতিক নির্বাচনী বৈতরনী পাড়ী দিতে ছাত্র লীগের ভূমিকা স্মরণীয়।
বাংলাদেশ ছাত্র লীগের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সমীপে নিবেদন করি, ছাত্র লীগের মাধ্যমে আমার রাজনৈতিক জীবনের হাতেঘড়ি দিয়ে দীর্ঘ পথ পরিক্রমা অতিক্রমের পর আজকে স্নেহ যেখানে প্রাপ্য,সেখানে একজন সিনিয়র নেতার কাছ থেকে তিরষ্কার মূলক বক্তব্য সামনের দিনগুলিতে কতটা উৎসাহ যোগাবে সেটাই ভাববার বিষয়। এ ধরনের হটকারী বক্তব্য অব্যাহত থাকলে আওয়ামী রাজনীতির বিকাশের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়বে ।
বাংলাদেশ ছাত্র লিগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্জের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ যখন বাংলাদেশের বৃহত্তর ছাত্র সমাজ কে ঐক্যবধ্য করে পুরো দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে ঠিক সেই মুহূর্তে আমার মতো একজন কর্মী সম্পর্কে তথ্যবিহীন অসত্য বক্তব্য জনসম্মুখে প্রকাশ করা কখনোই কাম্য নয়।
আমার বিষ্বাস যে কোন ব্যাক্তি বিশেষ ভূল বুঝিয়ে প্ররোচিত করে মাননীয় সংসদ আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কতিপয় অসত্য উপস্থাপন করেছে। উনার মতো একজন সম্মানিত ব্যাক্তিত্ব একজন ক্ষুদ্র ছাত্র নেতা কে কটাক্ষ করে কথা বলা বাঞ্ছনীয় নয় বলে আমি মনে করি।