মোজাম্মেলহক লালটু, গোয়ালন্দঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় বেদে বহরের দিপু লাল ১৪ বছর ধরে সাপ খেলা দেখিয়ে চালাচ্ছে তার সংসার।
জানাগেছে, দিপুলাল তার বাবা উত্তম দাসের কাছ থেকে সাপ ধরা বা সাপ দিয়ে খেলা দেখানো শিখিয়েছেন। সেই থেকে শুরু হয় তার সাপ ধরা ও খেলা দেখানো। আজ ১৪ বছরে ধরে এভাবেই সাপ নিয়ে খেলা করেন। তার সাপের খেলা দেখে যে যা দেয় তা দিয়েই চলে তার সংসার। সাপ্তহে ৬ দিন সাপ ধরার কাজে নিয়োজিত থাকেন আর মাত্র দিন বিভিন্ন হাট বাজারে গিয়ে সাপের খেলা দেখান। তাতে তার আয় হয় ১৫ শত টাকা হতে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। বছরে ৬ মাস দেশের বাড়ীতে থাকেন দিপুলাল আর ৬ মাস দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ঘুরে বেড়ান সাপ নিয়ে। তাদের বেশি আয় হয় শ্রবন মাসে। শ্রবন মাসে পাতিলের ভিতরে একটি সাপ নিয়ে বিভিন্ন এলাকাতে বেড়ালে ঐ সময় সাধারন লোকজন মূনোসার পূজা উপলক্ষে বেশি করে টাকা দিয়ে থাকে। সে সময় প্রতিদিন ৭ হাজার টাকা হতে ৮ হাজার টাকা মত আয় হয়ে থাকে। সাপের জম্ম” পদ্মো” থেকে। এই সাপের মূনোসার পূজা বা ছিন্নি করে থাকি নদী পাড়ে। নদীর পাড় ছাড়া পূজা হবে না।
দিপুলাল বলেন, আমি সবধরনে সাপ ধরত। পারি। কোন মন্ত লাগে না লাগে শুধু কৌশল ও সাহস। সাপ ধরে আর সাপ নিয়ে খেলা দেখিয় সংসার চালাই ১৪ বছর। সাপের খেলা দেখে সাধারন মানুষ যা দেয় তাই নেই। সারা দিন সাপ নিয়ে ঘুরে আয় ৫ শত টাকা থেকে ৬ শত টাকা পর্যন্ত কত দিন তারো বেশি হয়ে থাকে। সাপের খেলা দেখিয়ে ছেলে মেয়ে নিয়ে মোটামুটি ভালোই আছি আমি।
হোটেল বাবুরচি সহর আলী বলেন, এই সাপের ব্যবসার হলো ওদের জাত ব্যবসায় এরা ছোট বেলা থেকে সব ধরনের সাপ নিয়ে খেলা করে থাকে। তার পর ও কিছু মানুষ সাপ দেখে ভয়েই টাকা দেয়।আবার এক ধরনের মানুষ আছে তারা সাপুরাদের কাজ থেকে তাবিজ নিয়ে থাকে। তাতে সাপুরিয়ারা ভাল আয় হয়ে থাকে। অনেক সাপুরিয়ারা আছে তারা অনেক ধনী তারপরও তারা সাপ নিয়ে খেলা দেখায়। কারন এটা হলো বেদেদের জাত ব্যবসা এটা করবেই।