Monday, December 23, 2024

সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ

এস,এম রাহাত হোসেন ফারুক: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গল গ্রাম সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতির বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বরাদ্দ পাওয়া মন্দিরের সভাপতির নাম জঙ্গল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

বরাদ্দপত্র ও কমিটির একাধিক সদস্যরা জানান, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মন্দির কমিটির সভাপতির অনুকূলে ৩ টন চাল প্রদান করা হয়। ২৬শে জুন চাল তোলার ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর কমিটির সভাপতি চাল উত্তোলন করেন। কিন্তু তিনি মন্দির কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি অবহিত করেননি। নিয়ম অনুযায়ী অনুদানের এই টাকা কমিটির ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়ার কথা। কমিটির মাধ্যমে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে টাকা ব্যয় করার কথা। কিন্তু টাকা ব্যাংকে জমা দেয়া হয় নাই। আবার কমিটির কাউকেও টাকার বিষয়ে বলা হয়নি।

রেজুলেশনেও তা লিপিবদ্ধ করা হয়নি। স্থানীয় গ্রামবাসীর সহায়তায় জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। প্রসাদ বিতরণ করা হয়। সম্প্রতি এই বিষয়টি জানাজানি হয়।

মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শশধর ঘোষ বলেন, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আমরা প্রশাসন থেকে কোনো প্রকার সহায়তা পাই নাই। বা এই বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। কারণ, প্রশাসন থেকে অনুদান বা সহায়তা পেলে তা খাতায় লিপিবদ্ধ করা হয়। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখা হয়। সেখানে আমারও স্বাক্ষর থাকে। কিন্তু ৩ টন চালের বিষয়ে কিছুই জানি না। সভাপতি আমাকে বা অন্যদের এ বিষয়ে কিছু জানাননি।

স্থানীয় বাসিন্দা শেখর রায় বলেন, কমিটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে এসব টাকা খরচ করা হয়। কিন্তু এই টাকার কথা সভাপতি কাউকে বলেননি। এ কারণে কেউ কোনো প্রশ্নও করেনি। আমরা চাই, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাতের বিচার করা হোক। দিলীপ মণ্ডল নামে একজন বলেন, ব্যাংক হিসেবে ৩ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। আমি তাদের মধ্যে একজন। আমি টাকা জমা দেয়া বা তোলার বিষয়ে কিছু জানি না। এমনকি ৩ টন চাল পাওয়ার বিষয়েও কিছু জানি না।

মন্দির কমিটির সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাল তোলা হয়েছে। টাকা দিয়ে কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া সামনের পূজায় এই টাকা খরচ করা হবে। তবে, কি উন্নয়ন করা হয়েছে তিনি সেটি বলেননি। বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, এই চাল জন্মাষ্টমীর প্রসাদ বিতরণের জন্য দেয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এই টাকা ওই অনুষ্ঠানেই খরচ করা হবে। পরে অন্য পূজায় বরাদ্দের প্রয়োজন হলে নতুন করে আবেদন করতে হবে।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here