উজ্জল হোসেন, পাংশা: রাজবাড়ীর পাংশায় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বাল্যবিবাহ দেওয়ার অপরাধে বাবা আক্কাস মোল্লাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মেঘনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জরিমানা আদায় করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী।
এ ঘটনায় বিবাহ সম্পন্ন করা মসজিদের ইমাম পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে আক্কাস মোল্লার মেয়ের সাথে মাছপাড়া ইউনিয়নের খালকুলা গ্রামের আমিন মন্ডলের ছেলে রুবেল মন্ডলের সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভবিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর রুবেল দম্পতি বাড়ি চলে যায়। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী জানান, রাত ৯ টার দিকে বাল্যবিবাহের সংবাদ পেয়ে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে জানতে পারি বিকালেই মেয়েটির বিবাহ সম্পন্ন হয়ে গেছে। এ সময় মেয়েটির বয়স ১৯ বছর দাবি করে একটি জন্ম নিবন্ধন উপস্থাপন করেন মেয়ের বাবা আক্কাস মোল্লা। সেটি জ্বাল প্রমানিত হয়।
মেয়েটির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি টেস্ট পরিক্ষার প্রবেশপত্রে দেখা যায়, মেয়েটির জন্ম তারিখ ১২ ডিসেম্বর-২০০৭ সাল। ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তাদের বিবাহ সম্পন্ন হলেও বয়স ১৮ বছর না হওয়ায় সেটা আইনগত ভাবে বৈধতা না থাকায় মেয়েটির বাবা মুসলেকা দেন মেয়ের বয়স ১৮ বছর পুর্ণ না হওয়া পর্য়ন্ত বাবার বাড়িতে অবস্থান করবে এবং লেখাপড়া চালিয়ে যাবে এই মর্মে মেয়ের বাবা মুসলেকা দিয়েছে। এ ঘটনায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এর ৮ ধারায় মেয়ের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিবাহ সম্পন্ন করা মেঘনা মিয়াপাড়া জামে মসজিদের ইমাম বারেক মোল্লা পলাতক হয়েছে। এ অভিযানে সহযোগীতা করেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম সিদ্দিকী, পাংশা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এআই) রবিউল ইসলামসহ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল।