রাজবাড়ী প্রতিনিধি: দীর্ঘ চারমাস পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সামাজিক সংগঠন ” রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাব”-এর প্রতিষ্ঠাতা ও মহিলা দলীয় নেত্রী সোনিয়া আক্তার স্মৃতি ওরফে স্মৃতি ইসলাম । ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি ও রাজবাড়ী শিশুপার্কে ফুসকা উৎসবের নামে ‘অশ্লীল নৃত্যের’ আয়োজন করার অভিযোগে করা পৃথক ২টি মামলায় আজ সন্ধায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন জেলা মহিলা দল নেত্রী সোনিয়া আক্তার স্মৃতি ওরফে স্মৃতি ইসলাম (৩৫)। দীর্ঘ চার মাস কারাগারে থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার মুক্তি পান তিনি।
স্মৃতি ইসলাম রাজবাড়ী শহরের ৩ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকার প্রবাসী মো. খোকনের স্ত্রী । তিনি সামাজিক সংগঠন “রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাব” এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সন্ধ্যায় রাজবাড়ী জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
স্মৃতি ইসলামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নেকবর হোসেন মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি মামলা ও ফেসবুক গ্রুপ খাদক বাঙালির আয়োজনে রাজবাড়ী শিশু পার্কে অশ্লীল নৃত্যে পরিবেশনের আয়োজন করার অভিযোগে করা মামলায় জামিনে মুক্তি পান স্মৃতি স্মৃতি ইসলাম।
অ্যাডভোকেট নেকবর হোসেন মনি বলেন, গত বছরের ৩১ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান স্মৃতি। পরে চেম্বার জজ আদালত এ জামিনের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন। গত ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগে শুনানি হলে হাইকোর্টের জামিন আদেশ বহাল রাখেন আদালত। বহালের আদেশ আজ রাজবাড়ী চিফ জুডিশিয়াল আদালতে পৌঁছালে তাকে মুক্তির আদেশ দেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ অক্টোবর রাজবাড়ী সদর থানায় মিজানপুর ইউনিয়ন আ.লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের রাজবাড়ী জেলা শাখার সদস্যসচিব মো. সামসুল আরেফিন চৌধুরী ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে মামলা করেন। ওই দিন রাতেই সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করে রাজবাড়ী সদর থানা-পুলিশ। এরপর থেকে তিনি রাজবাড়ী কারাগারে ছিলেন ।
পরে রাজবাড়ী শিশু পার্কে ফুসকা উৎসবের নামে অশ্লীল নৃত্যের আয়োজন করার অভিযোগে করা মামলায় পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ওই মামলায় তাকে শোন এ্যারেস্ট দেখান।
উল্লেখ্য, স্মৃতি ইসলামের গ্রেফতারের খবর পেয়ে বিএনপি’র মহিলা দলীয় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রাজবাড়ীতে এসে তার গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানান ও অবিলম্বে মুক্তি’র দাবী জানান এবং স্মৃতি ইসলামের বাড়ীতে এসে তার দুই বাচ্চার খোজখবর নেন।
