রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের চাঁদপুর এলাকায় নিজ বাড়ীতে রবিবার (১৮ই ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন করেছেন ভুক্তভোগী মোছাঃ নাসরিন বেগম ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১১ ফেব্রুরারি আনুমানিক বেলা চারটার সময় আমার পুত্র সন্তান এস.এস.এসি পরীক্ষার্থী মোঃ নাঈম খাঁন (১৭) প্রেম ভালোবাসা জনিত কারনে নিজ ঘরের বাসভবনে ঘরের সিলিং ফ্যান এ গামছা ঝুলিয়ে আত্নহত্যা করে। তখন আমার ডাক চিতকারে আমার কাকাত ভাই সহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে ভ্যানযোগে দ্রুত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ভ্যানযোগে চন্দনীর গ্রাম্য ডাক্তার সঞ্জয় কুমারের নিকট নিয়ে যাই পরে তিনি সদর হাঁসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে সদর হাস্পাতালের ডাক্তার নাইম খান কে মৃত ঘোষনা করেন। পরবর্তিতে মরদেহ পোষ্টমর্টেম করে । নাসরিন বেগম বলেন, পোষ্টমর্টেমের পর লাশ হস্তান্তরের সময় আমার সাবেক স্বামী ও নাঈমের বাবা মান্নান খান সন্তানের মৃত্যুকে পূঁজি করে অসৎ পন্থা অবলম্বন করে আমা কে হয়রানী ও হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ১৪ই ফেব্রুয়ারি/২৪ তারিখে ৩০২/৩৪ ধারায় মোঃ মান্নান খান বাদী হয়ে রাজবাড়ী বিজ্ঞ -১ নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
নাঈমের মা নাসরিন বেগম বলেন, নাঈমের মৃত্যুর বিষয় নিয়ে একটি স্বার্থনেষী মহল ও তার বাবা অসৎ পন্থায় তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষে মিথ্যা, ভিত্তিহীন বানোয়াট অভিযোগ এনে আমার মিথ্যা মামলা করে ও মানহানি করবার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যে প্রনদিতভাবে ১৬ই ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন, আমাকে ও আমার বর্তমান স্বামী মোঃ রফিকুল ইসলাম ও মামা রাকিবুল ইসলামকে বিবাদী করে রাজবাড়ী ১নং আমলী আদালতে নাঈমকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে মামলা দায়ের করে ।
নাসরিন বেগম বলেন মৃত নাইমের পিতা মান্নান খানের যন্ত্রণা ও অত্যাচারে ২০১৭ সালে আমাদের খোলা তালাক হয়ে যায়। এরপর থেকে নাঈম আমার কাছেই থাকতো ।
নাঈমের বাবাব্র সাথে খোলা তালাকের পর ইসলামী শরিয়া মোতাবেক রাজবাড়ীর লক্ষীকোল আহমেদ আলীর প্রামাণিকের ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রী আইন ২০০৯ এর আইনে ২৮ (১)ক অনুসারে ২০২৩ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর ৪লাখ টাকা দেনমোহরানা ধার্য করে চন্দনী ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার মোঃ আসাদুজ্জামানের মাধ্যমে সামাজিক মতে বর্তমান স্বামীর সাথে বিবাহ হয়। যার বাংলাদেশ ফরম নং- ১৬০১ (ফরম-গ) পৃষ্ঠা ৯১, বালাম নং-১৭ । বিয়ের স্বাক্ষীতে নাঈম ও জহির মোল্লা কাবিন নামায় স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন।
নাঈমের মা নাসরিন বেগম বলেন, প্রকৃতপক্ষে আপন খালাতো বোনের সাথে নাঈমের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো , দুই জনের মধ্যে মনমানিল্যতার কারনে নাঈম আত্নহত্যার পথ বেছে নেয় ।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন ।’