রাজবাড়ী জার্নাল নিউজ ডেস্কঃ রাজবাড়ী সদর হাঁসপাতালে প্রতিদিন ই বেড়ে চলেছে রোগীর চাপ । বাড়তি রোগীর চাপে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক আবার সেবা নিতে আসা রোগীরাও পরছে বিপাকে । দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়ীয়ে ডাক্তার দেখানো , বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষা ও ঔষদ নিতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় রোগীকে ।
২ এপ্রিল (রোবিবার) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাঁসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভীড় । যারা ডাক্তার দেখাতে এসেছেন কিংবা রোগীর সাথে যারা এসেছেন ,দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ডাক্তার দেখানোর আশায় । হাঁসপাতালের আউটডোর ডাক্তারের চেম্বার , প্যাথলজি বিভাগ ,ঔষদ বিতরণ বিভাগে পরিপূর্ণ রোগী ও তাদের স্বজন । গরমে দীর্ঘ সময় রোগীদের সাথে আসা ছোট ছোট বাচা গুলো’র কান্না কাটি আর ক্লান্ত বৃদ্ধ বয়সী রোগীদের ফ্লোরেই বসে থাকতে দেখা যায় ।
রোগীর চাপ সামাল দিতে ডাক্তারদের এবং ডাক্তারদের সাথে সাথা সহযোগীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে ।
মেহেরুন্নেসা নামে একজন জানান,বেলা ১২টা থেকে দেড় ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছি , সাথে মা-কে নিয়ে আসছি রোজা রেখে লাইনে দাঁড়ানো খুব ই কষ্ট হচ্ছে । সবচেয়ে বড় কষ্টের ব্যাপার লাইনে দাঁড়িয়ে আমার ব্যাগ চুরি হয়ে গেছে । ব্যাগে আমার জাতিয় পরিচয় পত্রের আসল কপি ছিলো ,সাথে জিরুরি কাগজপত্র । আমার পাশের আরেকজন মহিলারও ব্যাগ হারিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কথা হয় রাজবাড়ী সদর হাঁসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ এস এম হান্নানের সাথে। তিনি জানান, হাঁসপাতালের জায়গা স্বল্পতা , চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় লোকবল সঙ্কট রয়েছে । নতুন ভবন সম্পন্ন হলে লোকবল বৃদ্ধি হলে এসলক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবো । তবুও আমরা সেরা সেবাটা রোগীদের দেওয়ার চেষ্ঠা করে চলেছি । গত ৩০শে মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশের ১০টি জেলা সদর হাঁসপাতাল ও ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাইলটিং ভিত্তিতে সরকারি চিকিৎসক দ্বারা বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন।
রাজবাড়ী জেলা সদর হাঁসপাতালেও চলছে এ চিকিৎসা সেবা । ৪০০ টাকায় সিনিয়র কন্সাল্ট্যান্ট ,৩০০ টাকায় জুনিয়র কনসালটেন্ট ও ২০০ টাকায় মেডিক্যাল অফিসারের মাধ্যমে রোগীরা পাবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা ।
স্থানীয়রা বলছেন রাজবাড়ীতে পাইলটিং ভিত্তিতে সরকারি সেবার বেশি বেশি প্রচার প্রচারনা হলে নিম্ন আয়ের মানুষের এক দিকে প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে অধিক টাকা খরচ কমবে তেমনি পাবে গুণগত সেবা ।