মোজাম্মেলহক লালটু, গোয়ালন্দ : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায়রাস্তায় ঘুরছে বিশাল আকৃতির হাতি। সেই হাতির পিঠে বসা রাসেল । রাসেলের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতিটি। হাতির উপরে বসে থাকা রাসেলের পায়ের আঙুলের ধাক্কা হাতিটি শুঁড় সোজা করে এগিয়ে দিচ্ছে দোকানদারের কাছে তখন দোকানদার ভয়েই টাকা দিয়ে দিচ্ছে। তাও আবার শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। বিশাল হাতির ভয়ে পথচারীরা ছুটাছুটি করছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।আজ বৃহপ্রতিবার বিকেলে দৌলতদিয়া বাজার এলাকায় এই দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন রাসেল । সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরন অনুযায়ী ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকান নয়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় ।
দৌলতদিয়া বাজার এলাকার একটি চায়ের দোকানে হঠাৎ একটি হাতি এসে শুঁড় এগিয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গে চায়ের দোকানদার ২০ টাকা হাতিটির শুঁড়ে গুঁজে দিলেন।
টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই দোকানদার বলেন, ‘টাকা না দিলে যাবে না। এ ছাড়া দেরি হলে অনেক সময় ভাঙচুর করে। এ জন্য ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে দিলাম।’ হাতির পিঠে বসে থাকা রাসেল বলেন, ‘হাতির ভরণপোষণের জন্য সবাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয়। দিন শেষে ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা হয়ে থাকে।
বুকিং ক্লিলার রাজ্জাক বলেন, হাতি বা বন্যপ্রাণী ব্যবহার করে সড়ক বা বাজারে চাঁদাবাজি করা উচিত নয়।