Saturday, November 23, 2024

হিন্দু ছেলের প্রেমের টানে রাজবাড়ীতে মুসলিম মেয়ে: অবশেষে বিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার: প্রেমের টানে নিজ ইসলাম ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেছে এক যুবতী । প্রথমে তার নাম ছিলো তাহমিদা আলম খান পরে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করে নিজের নাম রাখেন জ্যোতি বিশ্বাস । সে ঢাকার গাজীপুর টঙ্গীর দত্তপাড়া হাজিমার্কেট এলাকার মোঃ সামসুল আলম খানের মেয়ে ।

জানাগেছে, ২০১৮ সালে প্রেম হয় রাজবাড়ীর পৌরসভার সজ্জনকান্দা এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের দুলাল কুমার বিশ্বাসের ছেলে অনিক কুমার বিশ্বাসের সাথে । পরে তারা কোর্টের মাধ্যমে এফিডেবিট করে বিয়ে করেন। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানাগেছে, গত ১৬ই জুন (শুক্রবার) রাজবাড়ীতে মেয়েকে নিতে আসেন মেয়ের বাবা মোঃ সামসুল আলম খান ও মেয়ের ভাই । কিন্তু মেয়ে তাদের সাথে যেতে রাজী হন না । পরে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধ্বস্তাধস্তি হয় । এক পর্যায়ে ছেলের বাড়ী থেকে থানায় ফোন করা হলে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ পৌছানোর আগেই মেয়ের বাবা ও ভাই চলে যায়। যাবার পথেই স্ট্রোক করে মারা যায় মেয়ের বাবা ।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, তারা উভয়েই স্বেচ্ছায় নিজেদের মতে ভালোলাগা ও ভালোবাসা থেকে বিয়ে করেছেন।

জ্যোতি বিশ্বাস বলেন, ২০১৮ সালে রাজবাড়ীর কাজীকান্দায় আমার নানা বাড়ীতে বেড়াতে এলে আমাদের পরিচয় হয় ,তারপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রেমের চার বছর পর ২০২৩ সালের মে মাসের ১৬ তারিখে আমরা কোর্টের মাধ্যমে এফিডেফিট করে বিয়ে করেছি । আমরা ভালো আছি । গত শুক্রবার আমার বাবা সহ ভাই আমাকে নিতে আসে আমাকে । আমি যেতে রাজি না হওয়ায় এখানে একপ্রকার ধ্বস্তাধস্তি হয় আমি আমার শাশুড়ি আমার স্বামী আহত হয়েছি। থানায় ফোন করলে পুলিশ আসে। শুনেছি যাবার পথে আমার বাবা মারা গেছেন স্ট্রোক করে । আমার ভাই আমাকে ফোন করে বলেছে তোর জন্য আমার বাবাকে হারিয়েছি তোকে যেখানে পাই খুন করে ফেলবো । ভিবিন্ন রকম হুমকি প্রদান করে ।

অনিক বিশ্বাস জানায় , আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থেকে আমরা বিয়ে করেছি । এফিডেফিট করেছি। কেউ কাউকে জোড় করে নয় আমরা স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি। আমি এখন ভয়ে আছি যে, আমার স্ত্রীর বড় ভাই আমাকে ফোন করে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে আমাকে যেখানে পাবে মেরে ফেলবে । আমরা থানায় একটা অভিযোগ করেছি ।

অনিকের মা শ্যামলী রানী বিশ্বাস বলেন, আমার ছেলে যখন মেয়েটিকে নিয়ে আসে বাড়ীতে তখন আমি রাজী ছিলাম না । ছেলে ও মেয়েটির আকুতি মিনতিতে আমি রাজী হই। তারা সাবালক তারা স্বেচ্ছায় রাজী হয়ে বিয়ে করেছে ,অবশেষে আমি মেনে নিয়েছি ।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে আসা রাজবাড়ী সদর থানার এস আই রকি বলেন, মেয়েকে নিতে তার বাড়ী থেকে ভাই ও বাবা এসেছিলো এবং ছেলের বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম । জানতে পারি মুসলমান মেয়ে স্বেচ্ছায় কোর্টের মাধ্যমে এফিডেফিট করে হিন্দু ছেলে অনিক কে বিয়ে করেছে । পরে কাগজপত্র দেখি । কাগজ পত্র সঠিক আছে । মেয়েকে নিতে এসে ফিরে যাবার সময় মেয়ের বাবা মারা গেছে এটাও শুনেছি । থানা্র উর্ধতন কর্মকর্তাগণ বিষয়টি অবগত ।

> ভিডিও> YOUTUBE>RAJBARI JOURNAL

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here