- রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নে ১৪৪/১৪৫ধার ভঙ্গ করে আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পেশি শক্তির মাধ্যমে অসহায় শফি শেখ এর জমির বাড়ী ভাংচুর করে বাড়ীর ভিটা দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সুলতানপুর ইউনিয়নের জালদিয়ে গ্রামের মোঃ মোজাম শেখের ছেলে জহিরুল শেখ বাদী হয়ে প্রতিবেশি আবুল হোসেন বাশার ,নিজাম শেখ, কাদের শেখ, বিলকিস বেগম,সেলিনা বেগম, নজর আলী সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গত মাসের ১৫ তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত রাজবাড়ীতে মিসপিটিশন নং- ৪০৫/২১ তারিখে ৮৮৪(৩) স্বারকে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। রাজবাড়ী সদর থানার এস আই মোহাম্মদ সোহেল রানা ১৮ সেপ্টেম্বর বাদী বিবাদীদের কোর্টের নোটিশ প্রদান করে সবাইকে শান্তি বিরাজ করার কথা বলে আসেন । মামলার পরবর্তী শুনানীর তারিখ ২২ ডিসেম্বর-২১ তারিখ।
কিন্ত এ আইন অমান্য করে সুলতানপুর ইউপি’র জালদিয়া গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা মিঠু শেখ প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে জহিরুল শেখ, সিরাজ শেখ সহ প্রায় ২০-২৫ জন মিলে শফি শেখ এর বাড়ী ভাংচুর করে ।
আবুল হোসেন বাশার জানান, আমাদের দীর্ঘদিনের বসত ভিটা আওয়ামীলীগ নেতা মিঠু শেখ প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে জহিরুল শেখ, সিরাজ শেখ সহ প্রায় ২০-২৫ জন মিলে ভাংচুর করে আর ঘরে থাকা আসবাব পত্র নিয়ে যায়।
বিলকিস বেগম জানান, সদর থানার এস আই সোহেল স্যার এসে স্থানীয় মেম্বার ও গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে আমাদের কে ঘরে থাকতে বলে। এবং কোন বিশৃঙ্খলা করতে না করে যান। আমরা শান্তিতে ঘরে বসবাস করতে থাকি। আজ সকালে আওয়ামীলীগ নেতা মিঠু শেখ প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে জহিরুল শেখ, সিরাজ শেখ সহ ভাড়াটে মাস্তান এনে আমাদের ঘড় বাড়ী ভেঙ্গে দেয়,আর আমাদের তাড়িয়ে দেয়। আমরা তাদের কাছে দুর্বল তাই কিছু করতে পারিনা।
এ বিষয়ে সদর থানার এস আই মোহাম্মদ সোহেল জানান, আমি ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে বিধান অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
জানাগেছে, জমির মুল মালিক সুবাহান শেখ এর ছেলে সরদার হোসেন ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক হয়। পরে সরদার হোসেন তার ছেলে শফি শেখ কে ১৭শতাংশ লিখে দেয়। পরবর্তীতে শফি শেখ স্থানীয় মিঠু শেখের কাছে মাঠের ১১ শতাংশ বিক্রি করে পরে মিঠু সেখ কৌশলে শফি শেখের থেকে মাঠের ৫ ও ভিটার ৬ শতাংশ ১২ লিংকজ জমি তার মেয়ে আছিয়ার নামে জমি রেজিষ্ট্রি করে নেন। মিঠু শেখে উক্ত জমি যা মেয়ে আছিয়ার নামে দিয়েছিলেন সে জমি ভোগদখল না করেই গত দুই মাস আগে বিক্রি করে দেয় পার্শ্ববর্তী জহিরুল শেখ ও তার ভাই সিরাজ শেখ এর কাছে ৫ লক্ষ টাকা মূল্যে।
শফি শেখের বড় ভাই নিজান উদ্দিন জানান, আমার ভাই সফি বোকা ও হাবাগোবা হওয়ায় বাবার জমি মাঠের ১১ শতাংশ ও বর্তমানে মামলা চলছে ভিটা ৬ শতাংশ ১২ লিংক আমার ভাই সফির নামে বাবা লিখে দেন। সফি শেখ মাঠের ১১ শতাংশ জমি মিঠু মোল্লার কাছে বিক্রি করলে সে প্রতারনা করে মাঠের ৫ শতাংশ ও ভিটার ৬ শতাংশ ১২ লিংক লিখে নেয়।
তবে মিঠু শেখ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কাছে যে পরিমান জমি বিক্রি করে সে পরিমান জমি মাঠে না থাকায় সফি সরদার সেচ্ছায় ভিটার জমি আমার কাছে বিক্রি করে। আমি সে জমি আমার মেয়ে আছিয়াকে দিয়েছি পরে সে জমি জহিরুল শেখ ও তার ভাই সিরাজ শেখ এর কাছে বিক্রি করে দেই।
মামলার বাদী জহিরুল সেখ ও সিরাজ শেখ জানান, সফি শেখ বর্তমানে এ জমির কেউই না, আমরা জমি কিনেছি মিঠু শেখের কাছ থেকে। তার মেয়ের নামের জমি আমরা দুইভাই কিনে নেই। কিন্তু সফি শেখ এর ভাইয়েরা উক্ত জমি তাদের দখলে রাখে এবং আমাদের ভোগ দখলে বাধা দেয় ও তারা ওই বাড়ীতে বসবাস করতে থাকে। এ জন্য আমি তাদের ৬ জনের নামে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত রাজবাড়ীতে তাদের বিরুদ্ধে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করি।পরে সদর থানা থেকে এস আই সোহেল সবাইকে নোটিশ দিয়ে যায়। যেহেতু তারা ১৪৪/১৪৫ ধারা ভংগ করে এ বাড়ীতে মামলার ১নং ও ৪ নং আসামী বিলকিস ও তার স্বামী আবুল হোসেন বসবাস করতে থাকে এবং এখানে থেকে আমাদের গাল মন্দ করতে থাকে তাই আমরা আজকে সেই জমির ঘর ভেঙ্গে দিয়ে জমি আমাদের দখলে নেই।
সরকারের কাছে এটার বিচার চাই কারণ এটা করা ঠিক হয়নি প্রচুর অন্যায় হয়েছে