অনেকেই জানেন না ৩৩৩ নাম্বারে ফোন করলে সরকারী সাহায্য পাওয়া যায়। তাছাড়া ৩৩৩ ফোন করা অনেকেই নিয়ম গুলো কঠিন হওয়াতে বুঝতে পারেন না।মহামারী করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনে চরমভাবে বিপাকে পড়েছেন রাজবাড়ী জেলার অসংখ্য সাধারণ মানুষ।
চলমান সর্বাত্মক লকডাউন প্রভাবে সংকুচিত হয়েছে শ্রমজীবী মানুষের কাজের সুযোগ। লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও নিকটস্থ বাজারে নেই মানুষের আনাগোনা। কাজকর্ম ও ব্যবসা বন্ধ থাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দূর্বিসহ সময় পার করছে অনেক পরিবার। অনেকেরই সংসার চলছে অর্ধাহার-অনাহারে।
দাদসী ইউনিয়ন থেকে রাজবাড়ী সদরে আসেন প্রায় আশি বছরের বৃদ্ধ বাহাদুর। ১৯৭০ সালে আই,এ পাশ করারপর কোথাও চাকুরী না পেয়ে বাপ দাদার পেশা মুচির কাজ করেন প্রেস ক্লাবে সংলগ্ন রাস্তার একপাশে।চার জনের সংসারে একমাত্র উপার্জন ব্যাক্তি।সারাদেশে লকডাউনের কারনে তার কাজ বন্ধ। যদি দু এক কেজি চালের পয়সা হয় সেই আশায় ঝুঁকি নিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে প্রায় প্রতিদিনই কাস্টমারের আশায় বসে থাকেন দোকানে।আইন শৃঙ্খলার বাহনী দেখলে লুকিয়ে পড়েন।তার কাছে জানতে চাওয়া হয় সরকার ৩৩৩ নাম্বারে অসহায় মানুষের সাহায্যে দিচ্ছে আপনি ফোন করে সাহায্য চান না কেন? এই নাম্বারে যে সরকার সাহায্য দেয় তিনি জানেন না বলে জানান ।
মুলঘর ইউনিয়নের বাসিন্দা, বিন্দু , শংকর, নেপাল তিন উপজাতি ষাটোর্ধ ব্যাক্তি প্রতিদিন হোটেলের রান্নার জ্বালানি খড়ি কাটতে।হোটেলে কাস্টমার কম তাই এখন তাদের কাজ নেই।তবুও তারা প্রতিদিনই আসেন যদি কোন কাজ পাওয়া যায়।তাদের উপর সংসারের দায়িত্ব, বৌ ছেলে মেয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে।তাদের কাছে ৩৩৩ নাম্বারে কথা জিজ্ঞেস করা হলে তারা জানান তাদের কোন ফোন নেই।আর এই নাম্বারে সরকার যে সাহায্যে করে তা তাদের কেউ জানায় নি।
তবে, এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমি মোঃ সায়েফ জানান এ পর্যন্ত জানান, গত১০ দিনে আমরা ৩৩৩ নাম্বারে সরকারের সুবিধার আওতায় মোট ২৯ জনের সাহায্য দিয়ছি।”
এ ব্যাপারে রাজবাড়ী ৩৩৩ নাম্বারটি যেহেতু এই নাম্বারের সুবিধা ভোগী রা তৃনমুল পর্যায়ের সে জন্য ব্যাপক প্রচার এবং সহজলভ্য করা প্রয়োজন বলে দাবী করেন সুশীল সমাজ।”