Friday, November 22, 2024

দেড়শো বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে অং সান সু চির

  • আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে জান্তা সরকার। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে ১১টি দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে নোবেলজয়ী এই নেত্রীর দেড়শো বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।

সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে জান্তা সরকার। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে ১১টি দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে নোবেলজয়ী এই নেত্রীর দেড়শো বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মোট ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর প্রতিটিতে পৃথকভাবে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে তার। আর সেটি হলে সু চির মোট সাজার মেয়াদ ১৫০ বছর ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ইনফরমেশন টিম এক বিবৃতিতে জানায়, নিজের মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের জন্য ৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান গ্রহণ করেছিলেন অং সান সু চি। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে এর বিচারিক কার্যক্রম ঠিক কবে নাগাদ শুরু হতে পারে সেটি জানানো হয়নি।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ইতোমধ্যে প্রায় এক ডজন মামলা করেছে মিয়ানমারের জাতীয় ক্ষমতায় আসীন জান্তা। রাজধানী নেইপিদোর জান্তানিয়ন্ত্রত আদালতেই বিচার চলছে সেসব মামলার। এর আগে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার দায়ে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির একটি আদালত। সরকারের শীর্ষ পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাসের মাথায় তার বিরুদ্ধে দেওয়া প্রথম কোনো রায় ছিল সেটি।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here