আমিরুল হক (বালিয়াকান্দি) : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মাটি বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আড়কান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল কাদের ভূঁইয়াকে বেধরক মারপিট করাসহ প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করায় আসামীর সুষ্ঠ বিচার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলীপি প্রদার করা হয়েছে।
স্মারকলীপি সূত্রে জানা যায়, উক্ত শিক্ষক আব্দুল কাদের তার পুকুরের মাটি তিনলক্ষ টাকা চুক্তি মোতাবেক বিক্রি করেন নবাবপুর ইউনিয়নের মোঃ আবু’র ছেলে মুক্তার হোসেনের নিকট। মুক্তার টাকা না দিয়েই মাটি কাঁটার যন্ত্র ভেকু (এক্সেভেটর) দিয়ে মাটি তুলে নিয়ে যায়। বারবার টাকা চাইলে মুক্তার টাকা প্রদানে টালবাহানা করতে থেকে। এরপর গত ২৬ মার্চ বিকাল ৩টার দিকে মোবাইল ফোনে কল করে টাকা দেওয়ার কথা বলে শিক্ষক আব্দুল কাদেরকে ডেকে নেয় বকশিয়াবাড়ী কুরুম এর দোকানে। সেখানে পৌছা মাত্রই মুক্তার হোসেন অতর্কিতভাবে কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে চায়ের দোকানে থাকা দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দেয়। ঠেকাতে গেলে বাম হাত কেটে গুরুত্বর আহত হয়। স্থাণীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এবিষয়ে বালিয়াকানদি থানা মামলা হলে গত ৭ এপ্রিল থানা পুলিশ মুক্তারকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে ৮ এপ্রিল সে জামিনে মুক্ত হয়। এবং জামিনে এসে শিক্ষক আব্দুল কাদের ভূঁইয়াকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করাসহ প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করছে। এর প্রতিবাদে ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বালিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী সমিতির আয়োজনে দোষি মুক্তার হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও স্মারকলীপি প্রদান করেন।
সকালে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্ত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বহরপুর ঊচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ শেখের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ আমজাদ হোসেন, বালিয়াকান্দি সরকারি পাইলট বালিকা বাদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সালাম, কুতুবউদ্দিন আহমেদ প্রমূখ। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর অনুলিপি দেওয়া হয়, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, অফিসার ইনচার্জ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নবাবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে।