নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি শেষে গতকাল সোমবার থেকে সরকারি অফিস শুরু হয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে কর্মমুখী মানুষের পারাপারের সেই চিরচেনা রুপ নেই। লঞ্চঘাটেও একই চিত্র। স্বাভাবিক ভাবে মানুষ আসছেন আবার পার হয়ে যাচ্ছেন।
পদ্মা সেতু চালু হবার পর পর এই ব্যস্ততম নৌরুট তার জৌলুস হারিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫এপ্রিল) সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঈদ ফেরত রাজধানীমুখী তেমন কোন গাড়ির সিরিয়াল নেই। লঞ্চ ঘাটেও নেই কোন ভিড়। অপচনশীল পণ্য পরিবহন ট্রাক, কাভার্ডভ্যান বন্ধ থাকায় আর রাজধানীমুখী মানুষের চাপ কম থাকায় এই নৌরুটে ভোগান্তি ছাড়াই ঘাট পার হতে পারছেন।
দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা যায়, এই নৌরুটে ২২টি লঞ্চ ও ২০টি ফেরি চলাচল করছে।
কুষ্টিয়া থেকে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে ঢাকায় ফিরছেন ফারুক আহমেদ । তিনি বলেন, ‘ছোট বেলা থেকেই কোন দিন এই ঘাট দিয়ে এত সহজে পার হতে পারিনি। এবার ঢাকা থেকে আসার সময় ঘাট যানজটমুক্ত ছিল। আবার যাচ্ছি ভালো ভাবেই। পদ্মা সেতুর সুফল ভোগ করছি।
আবদুর ছাত্তার নামের অপর এক যাত্রী বলেন, এবার বাড়ি ফেরার পথে ঘাটে কোনও ঝামেলা হয়নি। যদিও বাস কম থাকায় ভাড়া একটু বেশি লেগেছে। রাস্তাও ফাঁকা ছিল। সবমিলিয়ে ভালো ভাবে আসতে পেরেছি।’
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আফতাব হোসেন বলেন, ঘাটে কোন যাত্রীর চাপ নেই। অধিকাংশ লঞ্চ ঘাটে অলস সময় পার করছে। ঘাটে যাত্রী একেবারেই কম।
উপ পরিচালক (পোর্ট) বিআইডব্লিউটি এ এস এম সাজ্জদুর রহমান বলেন আসলে যাত্রী কম থাকায় মানুষজন আরামে পার হচ্ছে। কোথাও কোন অকারেন্জ নেই। তবে তিনি জানান শুক্র শনিবার হয়তো ভীর একটু বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘ঈদ শেষে গতকাল থেকে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। তবে ঘাট এলাকায় যানবাহনের কোনও সিরিয়াল নেই। যেসব যানবাহন নদী পার হওয়ার জন্য আসছে, সেগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে।