Sunday, December 22, 2024

সোনাপুর কৃষি ব্যাংকে গ্রাহকের একাউন্ট থেকে ৯০ হাজার টাকা গায়েব

এস,এম রাহাত হোসেন ফারুক: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুর কৃষি ব্যাংক শাখায় এক গ্রাহকের একাউন্ট থেকে ৯০ হাজার টাকা গায়েবের ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। পরে ওই একাউন্টে টাকা ফেরত দিয়ে রক্ষা পেলেও অভিযুক্তরা রয়েছে ধরাছোয়ার বাইরে।

মাজবাড়ী গ্রামের আব্দুল খালেক শেখ বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সোনাপুর কৃষি ব্যাংকে লেনদেন করেন। তার ওই শাখার একাউন্টে এক লক্ষ টাকা জমা দেন এবং চেক বইয়ের পাতা চান। তাকে নতুন একটি চেক বই প্রদান করলেও লেখাপড়া বেশি না জানার কারণে কৌশলে একটি পাতা রেখে দেন।

পরে গত ৫ মে তার একাউন্ট থেকে ৯০ হাজার টাকা তুলে নেয়। ব্যাংকে গিয়ে ৫৫ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য চেক দিলে ক্যাশিয়ার বলেন, তার একাউন্টে ২২ হাজার টাকা রয়েছে, কিভাবে ৫৫ হাজার টাকা দিবো। পরে তাকে এক সপ্তাহ আগে এক লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার কথা বললে শুরু হয় ব্যাপক তোলপাড়।

পরে আজিজুল বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে ব্যাংকের গিয়ে জানতে চাই কে টাকা একাউন্ট থেকে নিল তার পরিচয় জানতে চাই। এসময় ব্যবসায়ী বাবলু শর্মা আমাকে ডেকে নিয়ে গোপনে মিমাংসা করে দিতে চান। এরমধ্যে গত ৭ মে তার একাউন্টে ৫৭ হাজার টাকা জমা দেন।
পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে টাকা দিয়ে আপোষ-মিমাংসা করে দেন। আমি বিচার চাইলেও স্থানীয়দের অনুরোধে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বাধ্য হয়েছি।
মাজবাড়ীর আজিজুল বিশ্বাস বলেন, একাউন্ট থেকে টাকা গায়েবের পর আমাকে নিয়ে ব্যাংকে যান। বিষয়টি কারা করেছে জানতে চাই। পরে ব্যাংকের লোকজনের সাথে একটা আপোষ-মিমাংসা হয়েছে।
নবাবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আজিজ ইকবাল বলেন, বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে। কিন্তু ভাই ছেলেকে নিয়ে ফরিদপুর হাসপাতালে আছি এখন কথা বলতে পারবো না।
কৃষি ব্যাংক সোনাপুর শাখার ব্যবস্থাপক সৈকত বলেন, একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের ঘটনা আপোষ-মিমাংসা হয়েছে।

তবে কিভাবে মিমাংসা হয়েছে তা বলতে অস্বীকার করেন।
কৃষি ব্যাংক রাজবাড়ীর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন বলেন, বিষয়টি মৌখিক ভাবে শুনেছি। পরে তারা মিমাংসা করে নিয়েছে বলেও আমাকে অবগত করেছে। কেন ব্যবস্থা নিলেন না এ প্রশ্নে বলেন, মিমাংসা হওয়ায় আর কিছু করা হয়নি।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here