Friday, November 22, 2024

সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে একাধিক বিয়ে : যৌনপ্লীতে বিক্রির সময় গ্রেফতার প্রতারক

রাজবাড়ী জার্নালঃ

সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে ৬টি বিয়ে করে প্রতারণার মাধ্যমে এক কিশোরীকে বিয়ের পর যৌনপ্লীতে বিক্রির চেষ্টা করলে পুলিশের জালে ধরা পড়ে আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহরিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল (৩৫) নামে এই প্রতারক ।

গ্রেফতার বুলবুল চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার বড়দুধপাতিলা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.ইফতেখারুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা ও ডিআইও-১ বিপ্লব দত্ত চৌধুরী সহ স্থানীয় সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন -রাজবাড়ী জার্নাল

পুলিশ সুপার জানান , গ্রেফতার বুলবুল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের অডিট অফিসার হিসেবে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, যশোর, পাবনা, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্বে আছে বলে পরিচয় দিয়ে পাংশা উপজেলার ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে চলতি বছরের ৭ মার্চ সে তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে। গত ২৭ আগস্ট সে ওই কিশোরীকে ফরিদপুর শহরের রথখোলা যৌনপল্লীতে নিয়ে বিক্রির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এছাড়া সে ভুক্তভোগীর মায়ের ঘর থেকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার এবং নগদ ৮ লাখ টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে গত ১৮ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে পাংশা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এ মামলায় তাকে নাটোর জেলা সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরোও বলেন, ‘ গ্রেফতার বুলবুল গত ৭ মার্চ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত পাংশা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেখিয়ে ৭ জনের কাছ থেকে ২৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও সে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সুন্দরী নারীদের টার্গেট করে তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করে এবং সেসব নারীদের আত্মীয়-স্বজনদের সরকারি চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। সে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৬টিরও বেশি বিয়ে করেছে বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৪টি প্রতারণার মামলা এবং একটি চোরাচালানের মামলা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা থানায় তার বিরুদ্ধে ২টি ওয়ারেন্ট আছে।’

 

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here