Sunday, December 22, 2024

জাল সনদে স্কুলে চাকরীর অভিযোগে শিক্ষককে অব্যাহতি

এস,এম রাহাত হোসেন ফারুক (বালিয়াকান্দি) : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি নলিয়া শ্যামামোহন ইনষ্টিটিউশনের গণিত বিভাগে সহকারী শিক্ষক মোঃ সাইফুল আলম মৃধার বিরুদ্ধে বিশ^বিদ্যালয়ের জাল সনদপত্রে চাকরির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সামসুল আলম মৃধা অভিযোগ করে বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার নলিয়া গ্রামের মৃত আবু সাঈদ মৃধার ছেলে মোঃ সাইফুল আলম মৃধা অনার্স পাশ না করেও ঢাকা তিতুমীর বিশ^বিদ্যালয়ের অনার্স পাশের জাল সনদপত্র সংগ্রহ করে নলিয়া শ্যামামোহন ইনষ্টিটিউশনের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জামালপুর ইউপির চেয়ারম্যান একেএম ফরিদ হোসেন বাবুর যোগসাজসে নলিয়া শ্যামামোহন ইনষ্টিটিউশনের গণিত বিভাগে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকতা করে আসছেন। গণিতের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনভিজ্ঞ, আনারী এইচএসসি পাশ করা একটি ছেলে বর্তমান ক্যারিকুলামে শ্রেনীতে পাঠদান করায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। ক্যারিকুলাম অনুযায়ী সঠিক পাঠদান না করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিত ভিতি দেখা দিয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জাল সনদধারী শিক্ষক মোঃ সাইফুল আলম মৃধার বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
নলিয়া গ্রামের মোঃ সামসুল আলম মৃধা এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গত ২৮ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বালিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারমিস সুলতানা তদন্ত পূর্বক গত ৭ ডিসেম্বর অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মৃধাকে জরুরী ভিত্তিতে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। ওই সুপারিশের প্রেক্ষিতে নলিয়া শ্যামামোহন ইনষ্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান মিঞা গত ১০ ডিসেম্বর তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

বালিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারমিস সুলতানা তদন্ত প্রতিবেদনে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মৃধার জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা তিতুমীর কলেজ হতে যে সনদ অর্জন করেছেন তার জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের অনলাইনে যাচাইকালে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ সনদটি সম্পূর্ণ ভূয়া। সাইফুল ইসলাম মৃধার এমন কর্মকান্ড সরকারী বিধির পরিপন্থি। বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মতে কোন যোগ্যতাবিহীন শিক্ষক দ্বারা শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় সাইফুল ইসলাম মৃধাকে প্রতিষ্ঠানের খন্ডকালীন শিক্ষকের দায়িত্ব হতে জরুরী ভিত্তিতে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন।
নলিয়া শ্যামামোহন ইনষ্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান মিঞা বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর ওই শিক্ষককে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

খন্দকালীন শিক্ষক সাইফুল আলম মৃধা বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। তার সনদ সঠিক আছে।
নলিয়া শ্যামামোহন ইনষ্টিটিউশনের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জামালপুর ইউপির চেয়ারম্যান একেএম ফরিদ হোসেন বাবু অব্যাহতির সত্যতা শিকার করেন। তবে তিনি দাবী করেন তার সনদ জাল নয়।’

 

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here