স্টাফ রিপোর্টার: রাজবাড়ীতে জেলা প্রশাসনের বর্নাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ।
এ উপলক্ষ্যে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখে সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের আম্রকানন চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক হয়ে পান্না চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে সমাপ্ত হয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ,পিপিএম(সেবা), স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান রিপন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) সূবর্ণা রাণী সাহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) জয়ন্তী রুপা রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সিদ্ধার্থ ভৌমিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহুয়া শারমিন ফাতেমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস্) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোঃ ইফতেখারুজ্জামান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এডঃ খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন্নাহার চৌধুরী লাভলী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শেখ মোঃ আব্দুল হান্নান, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল জলিল, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বাকাউল আবুল হাসেম,বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব, অধ্যাপক ফকরুজ্জামান মুকুট, রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এমকেএম ইকরামুল করিম, জেলা যুবলীগের সভাপতি শওকত হাসান, এনজিও ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ লুৎফর রহমান লাবু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সফিকুল হোসেন সফি, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান শরীফ, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সাবেক অধক্ষ্য দিলীপ কুমার কর, জেলা কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতিম দাস, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও সরকারী দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাগণ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পোশাক বাহারী শাড়ী-পাঞ্জাবী পরে রং-বেরঙের প্লেকার্ড-ফেস্টুন সহ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রা শেষে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে হয় বর্ষবরণ গান। এছাড়াও জেলা শিল্পকলা একাডেমী সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় নাচ ও গান।
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে বর্ষবরণ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ পিপিএম।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দিনব্যাপী জেলা শিল্পকলা একাডেমীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (সমবেত ও একক সঙ্গীত, পুঁথিপাঠ, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য ইত্যাদি) পরিবেশন করা হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে একই দিন সকালে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া দুপুরে হাসপাতাল, কারাগার ও শিশু পরিবারে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হয়।
অপরদিকে বর্ষবরণ উদযাপন কমিটি রাজবাড়ী জেলার আয়োজনে জেলা শহরের আজাদী ময়দান থেকে সকাল ৯টায় একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী ও নানান শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রা শেষে সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে শুরু হয় নাচ, গান। এছাড়াও তিনদিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয় ।’