স্টাফ রিপোর্টার: রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় খুন হওয়া ছাত্রদলকর্মী ফারুক হত্যা মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়।
৩০শে অক্টোবর (বুধবার) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব ।
তিনি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিনুল হক সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোয়ালন্দ ঘাট থানার দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকা থেকে রিপন ফকির ও ফরিদপুর কোতয়ালী থানার খলিল মন্ডলের হাট থেকে মমিন ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো : গোয়ালন্দঘাট থানার উত্তর দৌলতদিয়া সোহরাব মন্ডল পাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রমজান ফকিরের ছেলে ১ নম্বর আসামিস রিপন ফকির (২৬), ৩ নম্বর আসামি মমিন ফকির (২৭)। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এজাহারভুক্ত আসামি রিপন ফকির জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায় তার সঙ্গে ফারুক সরদারের পূর্বে থেকেই মাটির ব্যবসা নিয়ে বিরোধ ছিল। সোহরাব মন্ডলপাড়া আক্কাস আলী স্কুল এলাকার সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে ফুটবল খেলায় প্রতিযোগিতা হয়। সেই খেলায় আসামি রিপন ফকির ফারুক সরদারকে নিমন্ত্রণ না করায় আসামি রিপন ফকির ও ফারুক সরদারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে ফুটবল খেলায় খরচের টাকা উত্তোলনের জন্য ফুটবল খেলোয়াড়রাসহ উত্তর দৌলতদিয়া পোড়াভিটা এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এ নিয়েও রিপন এবং ফারুক সরদারদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়স্বজনরা সমাধানের চেষ্টা করেন।
গত ১২ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফারুক সরদার ১৫/২০ জন বন্ধুসহ রিপন ফকিরের দৌলতদিয়া যৌনপল্লির ভেতরে থাকা দোকানে আক্রমণ করেন। এ সময় রিপন ফকির কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে তার দোকানে থাকা ডাব কাটার অস্ত্র (ছোল) দিয়ে ফারুক সরদারের সঙ্গে থাকা আল আমিনকে কোপ দেন। আল আমিন কোপ খেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন ফারুক সরদার ও রিপন ফকিরের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে একপর্যায়ে রিপন ফকির ফারুক সরদারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং তাড়া করে পোড়াভিটার বাঁশের সাঁকোর নিকট পানিতে ফেলে রিপন পালিয়ে যায়।’