মো. ইমদাদুল হক রানা: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বকশিয়াবাড়ি গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দফায় দফায় হামলায় স্কুলছাত্রীসহ ৮ জন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বকশিয়াবাড়ী গ্রামের মোহাম্মদ আলী মিয়ার ছেলে মোঃ ওমর আলীর বাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালায় একই গ্রামের গোলাম মোস্তফা ফকির, সাখাওয়াত ফকির, শাহিন ফকির, একদিল ফকির, মিলন ফকির, আব্দুল হান্নান শেখ, জুবায়ের হোসেনসহ বেশ কয়েকজন। এসময় ওমর আলী মিয়ার বাড়ীতে নিরাপত্তাজনিত কারণে স্থাপন করা ১৩টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ভেঙ্গে তছনছ করে হামলাকারীরা। ঘরের বেড়া কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এসময় বাধা দিতে গেলে তাদের হাতে থাকা লোহার রড, হাতুড়ি, লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্তর আহত করেন স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীসহ ৮জনকে। আহতরা হলেন, মোঃ ওমর আলী মিয়া, মনোয়ারা বেগম, মেহেরুন্নেছা, রহিমা খাতুন, ঐশি খাতুন, শৈশী খাতুন, আছিয়া খাতুন ও লতাশা খাতুন।
অভিযোগ করে ওমর আলী মিয়ার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বলেন, আমাদের বাড়ীর প্রায় প্রতিটি পুরুষ মানুষ সংসার চালানোর জন্য প্রবাসে থাকে। আমরা মেয়েরা বাড়ীতে থাকি। শুধুমাত্র আমার ভাসুর ওমর আলী অসুস্থতার কারনে বাড়ীতে থাকেন। এই সুযোগে প্রতিপক্ষ প্রায় রাতেই আমাদের বাড়ীর ঘরের চালের উপর ইট দিয়ে ঢিল ছোড়ে। প্রতিবাদ করতে গেলেই হামলার স্বীকার হতে হয়। একারণেই আমাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এর আগে বাড়ীর চারপাশে ১০টি ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা (সি,সি) স্থাপন করে। কিছুদিন যেতে না যেতেই ক্যামেরাগুলো চুরি করে নিয়ে যায় এই গ্রুফটি। এরপর আবার মোট ১৪টি ক্যামেরা বসানো হয়। সকালে হামলা করার সময় ১৩টি ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে। এবং আমার ভাসুর ওমর আলী মিয়াকে মারতে মারতে পানিতে নামালে আমরা এগিয়ে যাই। এসময় আমাদের উপর হামলা চালালে সকলেই গুরুত্বর আহত অবস্থায় ঘরে উঠে পড়ি। চিকিৎসার জন্য বাইড়ে বেড়োতে না পেরে জাতীয় পরিসেবা ৯৯৯ এ কল দিলে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রেরন করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলতে তাদের বাড়ীতে গেলে কাউকেই পাওয়া যায়নি।
বালিয়াকান্দি থানার উপ-পরিদর্শক অমল কুমার বিশ্বাস বলেন, জাতীয় পরিসেবা নাম্বার ৯৯৯ এ কল পেয়ে আমি সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করি। তবে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ রিপোর্ট লেখা অবধী বালিয়াকান্দি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছিলো।’