উজ্জল হোসেন, পাংশা: তিন তালায় উপজেলা প্রকৌশলীর (এলজিইডি) কার্যালয়। পাঁচ তালার নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের শ্যাওলা পড়া ইট। সাংবাদিকের ফোন পেয়ে কাজ বন্ধ করলেন প্রকৌশলী। ইঞ্জিনিয়ার অফিসের কেউ জড়িত না থাকলে কোন ভাবেই অন্তত এই ভবনে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা সম্ভব না বলছেন স্থানীয়রা । রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা পরিষদের ভবন নির্মানে ঘটেছে এমন ঘটনা।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদের চার তালা ভবনের উপড়ে ইডিপি প্রকল্পের আওতায় আরও এক তালার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। নির্মাণ কাজে ব্যায় ধরা হয়েছে দেড় কোটি টাকারও অধিক। কাজটি করছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সরেজমিনে গিয়ে দেখায় যায় শ্যাওলা পড়া ইট দিয়ে কাজ করছেন শ্রমিকরা। এ সময় উপজেলা প্রকৌশলীকে মুঠোফোনে বিষয়টি অবগত করলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. রাজিব হোসেন বলেন, ১৫ দিন আগে ইটগুলো আনা হয়েছে। ১৫০০-২০০০ এর মত ইটের কাজ করা হয়েছে। গাড়িওলা ভুল করে এই দুই নম্বর ইট নিয়ে আসছে। এখন কাজ বন্ধ করতে বলেছে। আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীরা বলছেন, ইটগুলো পুরাতন শ্যাওলাপড়া, দেখেই বোঝা যাচ্ছে দুই নম্বর। তিন তালায় ইঞ্জিনিয়ার অফিস, আর পাঁচ তালায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ার অফিসের কেউ জড়িত না থাকলে কোন ভাবেই অন্তত এই ভবনে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা সম্ভব না। নির্মাণ কাজের তদারকিতে নিয়োজিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা বলেন, আজ সকাল ১১টার দিকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। নিম্নমানের ইট দিয়ে কয়েকদিন ধরে কাজ চলছে, আজ বন্ধ করছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগেও বলা হয়েছে। তারা কথা সনেনি। উপজেলা প্রকৌশলী খোয়াজুর রহমান বলেন, শুক্র ও শনিবার অফিস বন্ধ থাকে তারা এই ফাকে ইটগুলো এনেছে। আমরা এখন কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।’