স্টাফ রিপোর্টার : নদীতে ভাসছে কুমির । এমন আতঙ্কে প্রায় দিশেহারা নদী পাঁড়ের মানুষ । রাজবাড়ী ও মাগুরা জেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীতে একটি কখনও দুই থেকে তিনটি কুমির মাঝে মাঝে ভেসে উঠছে। আকারে মানুষের চেয়ে বড় বিশাল কুমির দেখতে ভীর করছে উৎসুক জনতা। নদীতে গোসল করতে আসা বাসিন্দারা ও নৌকায় মাছ ধরতে আসা জেলেরা রয়েছে আতঙ্কে।
নদী পাড়ের বাসিন্দা ইসমাইল জানান, নদীতে গোসল করতে নেমেছি একটু দূরেই বিশাল কুমির ভেসে উঠেছে ,ভয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কেওয়াগ্রামের মোহনের ঘাট এলাকায় কুমির দেখতে নদীপাড়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় স্কুলের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীদের। তারা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে নদীতে কুমির ভেসে উঠছে এমন খবরে তারা কুমির দেখতে এসেছেন।
স্থানীয়রা জানান, নদীতে পানি বাড়ার সময় হয়তো অন্য কোথাও থেকে ভেসে এসেছে এই কুমির। এখন নদীর পানি কমে গেছে। এই ঘাটে পানি একটু বেশি। তাই কুমিরগুলো এখানে আশ্রয় নিয়েছে। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এখানে কুমিরগুলো দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার নদীতে কুমির ভাসতে দেখা যায়। আমরা ভয়ে কেউ নদীতে নামতে সাহস পাচ্ছি না। প্রতিদিন এলাকার শত শত মানুষ এই নদীতে গোসল, জামা-কাপড় ধোয়া , গরু গোসল দেওয়ানোসহ দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে নদীর পানি ব্যবহার করতেন। এখন কুমির আতঙ্কে কেউ নদীতে নামতে পারছেন না। কুমির টি নদী থেকে ধরে সরকারি সহায়তায় বড় কোন নদীতে অবমুক্ত করলে দ্রুতই এ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেত ।
এ বিষয়ে কমবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে নদীতে কুমির দেখা যায়। আমরা ভেবেছিলাম চলে যাবে। এখন মাঝে মাঝেই দেখা যায়। উপজেলা প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ।
এ বিষয়ে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস.এম. আবু দারদা বলেন, ইতিমধ্যে উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তাকে লিখিত চিঠির মাধ্যমে ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ঢাকা চিড়িয়াখানা বা যে কোন যায়গা থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞদের এনে নদী থেকে কুমির অনত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ।’