নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী কেরামত আলীকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে প্রেরণ করা হলে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজবাড়ী সদর আমলি আদালতের বিচারক তামজিদ আহম্মেদ এ আদেশ দেন। এর আগে রোববার রাতে ঢাকার মহাখালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩০ আগস্ট রাজবাড়ী সদর থানায় কাজী কেরামত আলী, তার ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাটি দায়ের করেন রাজবাড়ী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা। এজাহারে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজবাড়ী শহরের বড়পুল মোড়ে অবস্থানকারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, ওই হামলার নেতৃত্ব দেন কাজী কেরামত আলী এবং তার নির্দেশেই বোমা ও গুলি চালানো হয়। এতে বহু আন্দোলনকারী আহত হন এবং তাদের হাঁসপাতালে নিতে বাধা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক জানান, কেরামত আলী মামলার ২ নম্বর আসামি এবং হুকুমদাতা হিসেবে অভিযুক্ত। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কাজী কেরামত আলী ছয়বার রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং একসময় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনার পালায়নের পর থেকে কাজী কেরামত আলী আত্মগোপনে ছিলেন ।