রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর পদ্মা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় একটি মস্তক বিহীন জাহাজ শ্রমিকের মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও নৌ-পুলিশ ।
পোশাক দেখে শনাক্ত হয় মেরদেহ ,কিন্ত উদ্ধার হয় নি মাথা । এর আগে মরদেহের পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় নমুনা পাঠিয়েছে পুলিশ ।
গত রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে রাজবাড়ী জেলার অন্তর মোড় নামক এলাকায় পদ্মা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। গায়ের পোশাক দেখে মরদেহটি জিহাদ নামে জাহাজ শ্রমিকের বলে দাবী করেছেন স্বজনেরা। নিহত জিহাদ সরদার রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চর বরাট গ্রামের শহিদ সরদারের ছেলে। এ ঘটনায় গত সোমবার তিনজন এজাহার নামীয় ও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা শহিদ সরদার ।
ঘটনার পর থেকেই গোয়ালন্দ থানা ও নৌ পুলিশ যৌথভাবে ঘটনার কারন উদ্ঘাটন ও আসামীদের গ্রেফতারের জন্য তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযান অব্যাহত রাখে।
সোমবার উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের কাচরন্দ গ্রামের বাবলু সরদারের ছেলে এজাহার ভুক্ত আসামী ও নিহত জিহাদের চাচাত ভাই সোহাগ সরদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে ২৯ এপ্রিল এজাহারনামীয় ১ নং আসামী খলিলের স্ত্রী সুমানা পারভীন সেতু (২৪) কে ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চর বালিয়াডাঙ্গা পিতার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শরীফ আল রাজীব । গ্রেফতার সুমানা পারভীন সেতু আদালতে১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
জানাগেছে, নিহত জাহাজ শ্রমিক জিহাদ ঢাকার একটি জাহাজ ( ডগ ) কারখানায় কাজ করতেন। গ্রেফতার সুমানা পারভীন সেতু’র সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো , ঢাকা থেকে বাড়ীতে এসে সেই রাতেই তার সাথে দেখা করতে যায়। সুমানা পারভীন সেতু’র সাথে সোহাগ ও হৃদয় নামে আরেকজনের সম্পর্ক ছিলো । এ বিষয়গুলো জিহাদ জেনেফেলায় উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ দেখা দেয়। পরে তারা মিলে জিহাদকে হত্যা করে পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। এজাহার নামীয় আসামী হৃদয়কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে । ‘