রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন মন্ডলকে (৩২) গ্রেফতার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
নয়ন ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শিরিন বেগমের (৪২) বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী রুনা আক্তার (২৫) নির্যাতন ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন।
প্রথম স্ত্রী রুনা আক্তার তার অভিযোগে বলেন, তার স্বামী নয়ন সম্পূর্ণ লোভের বশবতী হয়ে বছর খানেক আগে তার অমতে শিরিনকে বিয়ে করে। শিরিন তার স্বামীর থেকে কমপক্ষে ১০ বছরের বড়। সে যৌনপল্লীর একজন বাসিন্দা। যৌনপল্লীর ভিতর-বাহিরে তার একাধিক বাড়ি ও অনেক অর্থবিত্ত রয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ের পর হতে তার স্বামী ও সতিন তাকে নিয়মিত শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে কয়েকমাস আগে আমার ৯ বছর বয়সী একমাত্র ছেলেকে নিয়ে পাশের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করি।কিন্তু সেখানে নয়ন ঠিকমতো আমাদের ভরনপোষণ দেয় না।
গত ১৩ অক্টোবর রাত ১ টার দিকে স্বামীর অসুস্হতার খবর পেয়ে আমি আমার বড় বোন মুন্নি আক্তারকে সাথে নিয়ে নয়নকে তার বাড়িতে দেখতে যাই।কিন্তু নয়ন ও শিরিন আমাদেরকে অকথ্য গালিগালাজ করে। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদেরকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারে ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পরে স্হানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বুধবার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করি। নির্যাতনের সময় তারা আমার গলায় থাকা ১০ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন হাতিয়ে নেয়।যার মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা বলে রুনা জানান।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অপারেশন অফিসার এসআই জাকির হোসেন জানান, রুনা আক্তারের দায়ের করা মামলায় নয়ন মন্ডলকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়।পরবর্তীতে তাকে আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।