দফায় দফায় গত দুই মাসে পদ্মা নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় ১৫ টি যায়গায় ভাঙন হয়েছে। এর আগে গত ২৪শে সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চর সিলিমপুর সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়ে যায়,সেই সাথে প্রায় ৩০ টি বাড়ী নদী ভাঙনের হুমকিতে পতিত হয়।
২৬ শে অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে গোদার বাজার শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় ফের ভাঙ্গন দেখা দেয়। প্রথমে ২০ মিটার যায়গা ভাঙ্গনে কবলিত হয়। পরে দফায় দফায় নদীতে ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ১২০ মিটার যায়গা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে হুমকীতে রয়েছে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার প্রায় ২০ টি বাড়ী ঘর অন্যত্র যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভাঙ্গন কবলিতে এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে নির্মিত সি সি ব্লক,গাছপালা ,স্থাপনা নদীতে চলে যায় আর এ ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ বা বালুর বস্তা দিয়ে নদী ভাঙ্গন রক্ষা করতে দেখা যায়।
৩৭৬ কোটি টাঁকা ব্যায়ে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের সকল টাকাই জলে চলেগেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারনে বলে দাবী করছে স্থানীয়রা।
গোদার বাজার পদ্মা পাড়ের মাজেদ চৌধুরী জানান, আমার ৫শত বিঘা জমি ছিলো প্রায় সাড়ে ৪শত বিঘা জমি নদীতে চলে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত কাজের কারনে আজ শহর রক্ষা বাঁধ হুমকীর মুখে রয়েছে।
স্থানীয় আরেক বাসীন্দা আছু মোল্লা জানান, আমার ৪ ছেলে মেয়ে । নদী ভেঙ্গে আমার বাড়ীর পাশে এসে পৌছেছে, এখন যদি আমার বাড়ীটি নদীতে চলে যায় আমি কোথায় যাবো কোন ঠিকানা নাই। এই বাড়ীটিই আমার সম্বল। ভাঙ্গন দেখতে উৎস্যুক জনতা ও নদী পাড়ের বাসীন্দারা এসে ভীড় জমায়। এলাকাবাসী জানায় রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাধ আর মাত্র ১০থেকে ১২ গজ দূরে রয়েছে। এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে ভেঙ্গে যেতে পারে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ডি অংকুর জানান, সকাল ৯ টার সময় হটাত ভাঙ্গন শুরু হয়, প্রথমে ২০ মিটারের মত ভাঙ্গন দেখাদেয় পরে ক্রমশ ভাঙ্গন বাড়তে থাকে এবং কয়েক যায়গায় ভাঙ্গন দেখা দেয়। আমরা ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলে আপাতত নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ করছি।