রাজবাড়ী পৌর মিলিনিয়াম সুপার মার্কেটের ২য় তলায় অবস্থিত আবাসিক হোটেল এখন অসামাজিক কার্যক্রমের নিরাপদ আশ্রয়। শুরুর দিকে সুনামের সাথেই কাজ করে বর্ডারদের জন্য খুবই পরিচিত ছিলো রাজবাড়ীতে আবাসিক হোটেল রয়্যাল টাচের। কিন্তু সম্প্রতি বহুল পরিচিত রাজবাড়ীর এ আবাসিক হোটেল টি এখন অসামাজিক কার্যক্রমের নিরাপদ আশ্রয় হয়েগেছে। প্রায়ই দেখা যায় স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে উঠলেও পরে জানা যায় অন্য কিছু। আর এ নিয়ে থানা পুলিশেরও অভিযান হয়েছে হোটেল টি তে।
এ বছরের এপ্রিল মাসের ৭তারিখে দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার আলীপুরের এক যুবক নারী সহ আটক হয় পুলিশের হাতে ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে চলছে নানা ধরনের অপকর্ম। পরিচিত আর নিজস্ব এলাকার লোকজন ভাইব্রাদার এসে আবদার করে করলে তাদের দাবী রাখতে হয় বলেও জানান রয়্যাল টাচের কর্মরত মোজাম্মেল হোসেন।
সম্প্রতি গত ২৮শে এপ্রিল-২১ শহরের বেড়াডাঙ্গা এলাকার আশরাফুল রহমান আকাশ নামে এক যুবক অন্যের স্ত্রীকে ভুলিয়ে রয়্যাল টাচ আবাসিক হোটেলে এনে ধর্ষণ করে। এ নিয়ে গৃহবধূ বাদী হয়ে ১০ জুলাই জুলাই-২১ রাজবাড়ী সদর থানায় ২০০২ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর সংশোধনী (২০০৩) এর ৯(১) ধারায় (রাজবাড়ী সদর থানার মামলা নং-১৫) একটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় আসামী আকাশকে গ্রেফতার করে রাজবাড়ী সদর থানার এস আই আতিয়ার রহমান। এ ঘটনায় আসামীর গ্রেফতারের পর জবানবন্দী নিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আতিয়ার রহমান।
রাজবাড়ীর রয়্যাল টাচ আবাসিক হোটেলের মালিক ছিলেন স্বপন ।তিনি মারা যাবার পর তার দুই স্ত্রীর মালিকানায়ই চলছে এ হোটেল। ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন মোজাম্মেল হোসেন।
এ বিষয়ে রয়্যাল টাচ আবাসিক হোটেলের দীর্ঘদিন ধরে ম্যানেজারের দায়িত্বপালন করে আসা ম্যানেজার মোজাম্মেল হোসেনের সাথে কথা হলে প্রতিবেদক কে তিনি জানান, এ হোটেল রাজবাড়ী শহরের মধ্যে দীর্ঘদিন। অনেক পরিচিত লোক আসে বলে ভাই বান্ধবী নিয়ে আসছি একটু কথা বলবো,তাদের না করা যায় না। আবার এমনও আছে যে পারিবারিকভাবে বিয়ে মেনে না নেওয়ার কারনে এখানে আসে। তাদের সমস্যা খুলে বলে। এর আগে আলীপুরের যে ছেলে টা এখানে ধরা পরেছিলো সে আমাকে বলছে ভাই কোন সমস্যা নাই আমি আছি । কিন্ত পরে পুলিশ এলে বিষয়টা আমি বুঝতে পারি। এমন অনেকেই আসে পরিচিত হওয়ায় আমি কাউকে না করতে পারিনা। সম্প্রতি বেড়াডাঙ্গা এলাকার ছেলেটার নাম আমার মনে নাই। সে এসে বলেছিলো ভাই আমার বান্ধবীর সাথে একটু কথা বলবো । কিন্তু পরে শুনলাম তার নামে মামলা হয়েছে।আর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। কোন সম্পর্কের ভিত্তিতে এমন সুজোগ দেওয়া হয় কপোত-কপোতীদের ? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিচিত কাছের ভাই ব্রাদার এসে রিকুয়েস্ট করে। তাই তাদের কথা রাখতে হয়। কিন্ত সম্প্রতি হোটেলে ধর্ষণ এর ঘটনার নায়ক আকাশের নাম জানেন না কেন এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেন নি হোটেল ম্যানেজার। তবে হোটেলের খাতায় বর্ডারদের অনেকেরই নাম উল্লেখ নেই -এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান ১-২ ঘন্টার জন্যে যারা আসেন তাদের নাম উঠিয়ে লাভ কি ?
এ বিষয়ে গোপনে খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় কপোত-কপোতীদেরকে টাকার বিনিময়ে এক ঘন্টা-দুই ঘন্টার সময় করে দিতো ম্যানেজার মোজাম্মেল হোসেন।
শহরের সম্মান রক্ষার্থে এমন ধরণের অপকর্মের অবসান চান সুশীল সমাজের লোকেরা।