- রাতের অন্ধকারে কেটে ফেলা হয়েছে ৮৫ টি কলা গাছে। দেশের সরকার যখন কৃষি বিপ্লব ঘটাতে সার্বিকভাবে কৃষকদের সহযোগীতা করে চলেছেন ঠিক তখনই দুর্বৃত্তদের কারনে আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাড়াদী গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মোঃ মিরাজুল মন্ডল। রাতের অন্ধকারে তার সবরী কলার বাগান কেছে ফেলেছে দুর্বৃত্ত চক্র।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাড়াদী গ্রামের মোঃ মেছের আলী মন্ডলের ছেলে মোঃ মিরাজুল মন্ডল পার্শ্ববর্তী বাবলু মল্লিকের কাছ থেকে ১ পাখি (২২ শতাংশ) জমি লিজ নিয়ে সবরী কলার চাষ করে। সংসারের খরচ বাঁচিয়ে বাগান পরিচর্যা করে বেশ কিছু গাছ সুন্দর করে গড়ে তোলেন।
গত রবিবার ২৪ অক্টোবর পাশের ক্ষেতের চাষি বহরপুর ইউনিয়নের গোলারচরের মোঃ সাদেক আলীর ছেলে মোঃ জনাব আলীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময় সে দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এর ৫ দিন পর ২৯ অক্টোবর শুক্রবার সকালে মাঠে গিয়ে দেখেন তার কলা গাছগুলো শুয়ে পড়েছে। কাছে গিয়ে দেখতে পায় প্রতিটি গাছের গোড়া কাটা। হতাশ হয়ে পড়েন প্রান্তিক চাষি মিরাজুল মন্ডল।
কথা হয় কলাচাষি মোঃ মিরাজুল মন্ডলের সাথে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি গত বছরে বাবলু মৌলিকের নিকট থেকে ২২ শতাংশ জমি লিজ গ্রহণ করি। সংসারে কিছু কষ্ট হলেও জমিতে থাকা কলা বাগানের পরিচর্যার কোনো ত্রুটি করিনি। যখন যা প্রয়োজন তাই দিয়ে ক্ষেত পরিচর্যা করে গাছগুলো দেখার মতো করে গড়ে তুলেছি। গত রবিবার জমি লিজের ব্যাপারে জনাব এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। সে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় আমাকে। আমি ভাবতে পারিনি আমার এমন ক্ষতি হবে। শুক্রবার সকালে কলা বাগানে গিয়ে দেখি গাছগুলো পড়ে আছে। আমি যেহেতু দেখি নাই তাই সরাসরি দোষারোপ করছি না। তবে ঘটনাটি সেই ঘটাতে পারে।
প্রতিবেশীরা বলেন, মিরাজুল মন্ডল রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে কলা বাগানে শ্রম দেয়। তার পরিশ্রমের কারনে আল্লাহ্ অনেক সুন্দর বাগান দিয়েছেন। কে এমন ক্ষতি করলো তার খুজে বেড় করে শাস্তির আওতায় আনা দরকার। আমরা জানি এই সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। এই কৃষিকে যে ক্ষতি করেছে সে রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছে। তার বিচার হওয়া দরকার। আর মাত্র এক থেকে দেড় মাস পর গাছগুলোতে কলা ধরবে। সেই ক্ষেতের ৮৫ টি সবরী কলাগাছ কেটে অনেক বড় ক্ষতি করেছে। যেই কে না হোক এমন কর্মকান্ড করেছে তার বিচার হওয়া দরকার।