রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার তালতলা সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজের জন্য নিলামে গাছ বিক্রি করা হয়। বিক্রির পর দু,টি মেহগনি গাছ কাউকে না জানিয়ে স্কুলের নাইটগার্ডের বাড়ীতে নিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণবন্ধু রায়ের বিরুদ্ধে।
নিলাম ক্রেতা বালিয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মোঃ সাখাওয়াত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমি নিলাম ডাকের মাধ্যমে তালতলা সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ১৪টি গাছ ক্রয় করি। ২০ হাজার ১শত টাকা প্রদান করলে মানি রশিদে ৮টি মেহগনি ও ৩টি আম গাছ উল্লেখ করেন। তবে ১৪টি গাছ হওয়ার কথা। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে আমার মিস্ত্রিদের কেটে রাখা ২টি গাছের গোলাই স্কুলের পাশেই নাইটগার্ড সুরান রায়ের বাড়ীতে নিয়ে রাখে। বিষয়টি মিস্ত্রিরা আমাকে জানালে তার বাড়ীতে গিয়ে গাছ দেখতে পাই। আমাকে না জানিয়ে গাছ নেওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে প্রধান শিক্ষক তাকে নিতে বলেছেন বলে স্বীকার করেন।
এবিষয়ে নাইটগার্ড সুরান রায়ের বাড়ীতে শনিবার সকালে গেলে দেখাযায়, বাড়ীর উঠানে গাছের গুড়ি ফেলানো রয়েছে। গাছের গোলাই আনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে গাছের গোলাই এনে বাড়ীতে রাখতে বলেছেন, তাই এনে রেখেছি।
তালতলা সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণবন্ধু রায় বলেন, গাছ বিক্রি করা হয়েছে। তবে যে দু,টি গাছ এনে রাখা হয়েছে তা বিক্রি করা হয়নি। ওই দু,টি গাছ স্কুলের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।