Friday, November 22, 2024

বন্দুক ও গুলি সহ আসামী গ্রেফতার-পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং

রাজবাড়ীঃ রাজবাড়ী জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে একটি সচল একনলা ও একটি সচল দোনলা বন্দুক ও ২টি নীল রঙের তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজবাড়ীতে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিং করেন রাজবাড়ী

পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান। ৭ই জুলাই (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং-এ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ ও প্রশাসন) মোঃ সালাউদ্দিন আহমেদ, সহকারি পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল) শেখ শরীফ-উজ-জামান, সহকারি পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল)  সুমন কুমার সাহা, ডি আই ও-১ সাঈদুর রহমান, এন এস আই এর উপ পরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম, কালুখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হাসান প্রমুখ ।

প্রেস ব্রিফিং-এ রাজবাড়ী পুলিশ সুপার বলেন,অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। ইত পূর্বে যারাই অপরাধ করেছে ,সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে তারা সবাই আইনের আওতায় এসেছে ।

তিনি জানান, রাজবাড়ীর কালুখালি থানাধীন বড় সাওরাইল গ্রামের মোঃ মোকসেদ আলী মন্ডলের বাড়ীতে গত ২৯শে জুন রাত আনুমানিক পৌনে এগারোটায় একদল দুর্বৃত্ত মুখমণ্ডল ঢেকে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এ সময় তার ছেলে  আরিফুল ইসলাম আরিফ,ভাই সালাম ও ভাতিজা সবুজকে মারপিট করে।  এ ঘটনায় মোকসেদ আলী মন্ডল বাদী হয়ে কালুখালি থানায় গত ৩০শে  জুন  ৩৮৫/৩২৩/৫০৬/৩৪ পেনাল কোডে মামলা রুজু করেন। পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকেই আমি নিজে ঘটনাটির উপর নজর রাখি। ৬ই জুলাই দুপুর আনুমানিক সোয়া ১ টার সময়  সহকারি পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) ও কালুখালি থানার ওসি নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে উক্ত

সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দলনেতা কালুখালি বড়-সাওরাইল গ্রামের মিরাজ মন্ডলের ছেলে তারু মন্ডল(৩২) কে পাংশার পিপুলবাড়িয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতার আসামী তারু মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে তার সহযোগী মীর কাশেম ফকির(৩২) ও মজনু মন্ডল(৪৫) দের নাম প্রকাশ করলে তাদেরকে বড়-সাওরাইল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার তারুকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া তথ্য মতে উক্ত কাজে ব্যাবহারকৃত অস্ত্র একটি একনলা বন্দুক , একটি দোনলা বন্দুক ও ২ টি তাজা কার্তুজ কালুখালির বড়-সাওরাইলস্থ রশিদ শেখের বাড়ীর রান্না ঘরের খরির মাচা থেকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার এম এম শাকুজুজ্জামান আরোও জানান, গ্রেফতার ও পলাতক আসামীগণ দীর্ঘদিন যাবত কালুখালি,পাংশা ,রাজবাড়ী জেলা সহ আশেপাশের জেলায় চাঁদাবাজি ,ডাকাতি সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে আসছে বলে জানাগেছে। আসামীদের নামে রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন থানায় খুন, ডাকাতি সহ চাঁদাবাজি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে কালুখালি থানায় ৭ই জুলাই ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে। কালুখালি থানার মামলা নং- ০১।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here