Friday, November 22, 2024

বালিয়াকান্দিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের গাছ তলায় চলছে পাঠদান 

বালিয়াকান্দি সংবাদদাতাঃ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি সড়কের পাশেই উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের পাটকিয়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসা। সড়ক থেকে দেখা যাচ্ছিলো মাদ্রাসার একটি তলা ভবন রয়েছে। কিন্তু গাছ তলায় বেঞ্চ বসিয়ে সেখানে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। কাছে গিয়ে দেখাগেল একতলা ভবনের ভীম ও বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তরা খসে পড়ার কারণে জীবনের ঝুঁকি এড়াতে গাছ তলায় বেঞ্চ বসিয়ে ক্লাস করছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

এসময় কথা হয় দশম শ্রেণীর আপন আহম্মেদ অন্তর, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মোয়াজ্জেম হোসেন সংগ্রাম, তন্বী খাতুন, ৮ম শ্রেণীর স্বাধীন হোসেনের সাথে। তারা জানায়, কয়েকদিন ধরে মাদ্রাসা ভবনের বিভিন্ন কক্ষের পলেস্তরে খসে পড়ছে। আমরা ভয়ে ওই রুমে ক্লাস করতে পারছি না। গাছ তলায় বেঞ্চ বসিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে। অনেক সময় পাখি পায়খানা করে দেয়। আবার পড়ার সময় দেখা গেল গাছের পাতা পড়ছে। এখন রোদের তাপও বেশি। আমরা দ্রুত আমাদের ক্লাস রুম সংকট নিরসনে পদক্ষেপ কামনা করছি।

জানাগেছে, পাটকিয়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার একতলা ভবনটি ১৯৯৫ সালে ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ নির্মাণ করে। ১৭জন শিক্ষক কর্মচারী ও ৩শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে কক্ষের অভাবে গাদাগাদি করেই পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। কয়েকদিন ধরেই একেবারে খুবই খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

মাদ্রাসার শিক্ষক উত্তম কুমার গোস্বামী বলেন, একতলা ভবনের ভীম থেকে ও বিভিন্ন স্থানের পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। দুঘর্টনার হাত থেকে রক্ষা করতে গাছ তলায় পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসলে পুর্ব থেকেই পাটকিয়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসাটি ভালো রেজাল্ট করে আসছে। রেজাল্ট ভালো হলেও মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে না। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবে প্রশাসনের নিকট পদক্ষেপ গ্রহণে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মাদ্রাসার সুপার মোঃ ফকরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষের ভীম থেকে পলেস্তরে খসে পড়ে রড বেরিয়ে গেছে। ভাগ্যেক্রমে সেখানে কেউ ছিল না। বুধবার সকালে বিভিন্ন রুমে পলেস্তরে খসে পড়তে দেখে শিক্ষার্থীরা ভবনে ক্লাস করতে অনীহা প্রকাশ করে। এ কারণে শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করে আপাতত গাছ তলায় বেঞ্চ দিয়ে ক্লাস করানো হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি।

মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাটকিয়াবাড়ী মাদ্রাসাটি পড়ালেখায় বরাবরই ভালো রেজাল্ট করলেও মাদ্রাসার কক্ষ সংকট, বেঞ্চ সংকট ও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চরম কষ্টের মধ্যে পাঠদান করতে হয়। অনেকদিন ধরেই একতলা ভবনটিতে রং চটাসহ সমস্যা দেখা দেয়। গত দুইদিন ধরে ভীম থেকে সহ বিভিন্ন রুমের পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। এ কারণে বাধ্য হয়েই গাছতলায় ক্লাস নিতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ হাসিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here